আমাকে একটি গুরুদায়িত্ব দেয়া হয়েছে: ইশরাক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮২ বার।

নির্বাচিত হলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।

তিনি বলেছেন, আমাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির সব নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা আমাকে একটি গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা রয়েছি, আমি সেখানে যেন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারি।’

শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কলেজিয়েট স্কুলের সামনে নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচিত হলে প্রিয় ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। এখানে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখব। নিয়মিত রাস্তাঘাট পরিষ্কার করব। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করব। এ জন্য নিরাপদ সঞ্চালন লাইনেরও ব্যবস্থা করব।

ঢাকার বেহাল দশা সামনে এনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন, গত ৯ বছরে ঢাকার পরিস্থিতি কোন দিকে গেছে আপনারা ভালো করেই জানেন। আমি গতকাল যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। সেখানে আমি যে নোঙরা পরিবেশ দেখেছি, সেটি মানুষের বসবাসযোগ্য নয়। শুধু যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর নয়; পুরো ঢাকার চিত্র একই।

‘আপনারা জানেন, বিশ্বের দূষিত নগরীর যতগুলো সূচক রয়েছে সবগুলোতেই ঢাকা এক নম্বরে। সব নেগিটিভ বিষয়গুলোতে আমরা এক নম্বরে রয়েছি। বায়ুদূষণে আমরা এক নম্বরে, অগোছালো নগর হিসেবে আমরা এক নম্বরে এবং নারী ও শিশুদের অনিরাপদ শহর হিসেবে আমরা এক নম্বরে আছি।’

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে তিনি নগরবাসীকে মুক্তি দিতে চান জানিয়ে ইশরাক বলেন, ঢাকার এতসব সমস্যা সমাধানে আমরা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাই না। কারণ এ সরকার যেহেতু সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি, তাই তাদের জনগণের প্রতি, এ শহরের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। অতীতে যারা মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।

নির্বাচনী প্রচারে ইশরাকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।