টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা নিহত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৪ বার।

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

বিজিবিরি দাবি, নিহত ওই ব্যক্তি মাদক পাচারকারী।   খবর সমকাল অনলাইন

রোববার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া শেকলঘেরা নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. আইয়াস (২৫)। তিনি উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের ২ নম্বর ক্যাম্প,বক্ল ডি৪/এর বাসিন্দা মো. জামাল হোসেনের ছেলে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহলদল জাদিমুড়া শেকলঘেরা এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান প্রবেশ করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টহলদল ওই এলাকায় গিয়ে কৌশলগত ভাবে অবস্থান নেয়। দূর থেকে কয়েকজন লোককে মিয়ানমারের লালদ্বীপ থেকে নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে আসতে দেখে। নৌকাটি নদীর কিনারায় আসার সঙ্গে সঙ্গে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ছোঁড়ে। এতে তিন বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ৫ থেকে ৬ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। এসময় গুলি করতে করতে তিনজন পাচারকারী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটে শূন্য রেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি বলেন, গোলাগুলি থামার পর টহলদল নৌকাটি তল্লাশি করে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

বিজিবির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আহত বিজিবির তিন সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিয়া হক বলেন, ভোরে বিজিবি গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। তার শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে এবং আহত বিজিবির সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।