আবারও হাতুড়ি দিয়ে কলেজছাত্রের হাত ভাঙল ছাত্রলীগ নেতা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৫ বার।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে তার বাম হাত ভেঙে গেছে। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি মেহেদি হাসান ওরফে শুভ ঢালীর বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা ও কলেজ সূত্র জানায়, রোববার সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ চত্বরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে বিষয়টি কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা মিটিয়ে ফেলেন। দুপুর ১টার দিকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে শহরের দুবাই প্লাজার কাছে একা পেয়ে মারধর করা হয়।

কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ ঢালীর নেতৃত্ব ওই হামলায় অংশ নেয় জহিরুল ইসলাম, বাধন, রিফাত ও ফাহিম। তারা সকলে ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। দাউদ ইব্রাহীমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। এতে তার বাম হাম ভেঙে যায়। আর ডান হাতের কনুইতে আঘাত লাগে। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মফিজুর রহমান স্বপন বলেন, তার বাম হাতের কনুইর নিচে ভেঙে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে আঘাতটা মারাত্মক।

ঘটনার পর থেকে শুভ ঢালি, জহিরুল ইসলাম, বাঁধন, রিফাত ও ফাহিমের মোবাইল ফোন বন্ধ এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী বলেন, রোববার সকালে কলেজে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমরা মিটমাট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর কেন একজন নিরীহ ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হল তা আমি বুঝতে পারছি না। অভিযোগ যেহেতু একজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে তাই আমার সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করব। এরপর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দাউদ ইব্রাহীমের বাবা শহীদুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, আমার ছেলে কোন মারামারি ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের কাছে অসহায়, এখন আর কি করব? পরেপরে মার খাওয়া ছাড়া আমাদের কি করার আছে?

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এক ছাত্রলীগ নেতা কলেজের ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে এমন মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেব।