বইমেলার নিরাপত্তায় থাকছে ৩০০ সিসি ক্যামেরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী ২০২০ ১২:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯১ বার।

এবারের বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মেলার বিভিন্ন স্পটে বসানো হচ্ছে ৩০০ সিসিটিভি ক্যামেরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও নিয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ডিএমপি সদর দপ্তরে অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এসব তথ্য উঠে আসে।

সভায় ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই মেলাতে থাকতে দেওয়া যাবে না। বইপ্রেমীরা বইয়ের ক্ষুধা বইমেলা থেকে বই কিনে মিটিয়ে থাকেন। তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাঙালির প্রাণের মেলা সফলভাবে আয়োজন করে শেষ করতে পারব। আপনারা যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতা নিবেন।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন।

বইমেলার নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারের বইমেলায় ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলায় ৪১১টি প্রতিষ্ঠান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮৭২টি ইউনিটে বুক স্টল দিবেন। এছাড়া বইমেলা প্রাঙ্গণে থাকছে শিশু চত্বর, মসজিদ, টয়লেট ব্যবস্থাপনা, ফুড পার্ক ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। বইমেলায় বই মনিটরিং করতে থাকবে মনিটরিং কমিটি। বইমেলার নিরাপত্তায় ৩০০টির অধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বাঁশ ও টিন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ শক্ত করে বেষ্টনি দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুক স্টলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে প্রকাশকদের বলা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন বরেণ্য লেখক হুমায়ুন আজাদ। আর ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় খুন হোন বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়। তারপর থেকেই ব্লগার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির দাবির মুখে বইমেলাতে সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।