ভারতের সেরা সুন্দরী এখন গৃহিনী!

জন্ম মারাঠি এক পরিবারে।  ১৯৯৩ সালে মিস ইন্ডিয়া নির্বাচিত হন। তার বড় বোন শিল্পা শিরোদকরও একসময় অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। সালমান খানের বিপরীতে ১৯৯৮ সালে  'জব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়' ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় নম্রতার। এছাড়াও  অক্ষয় কুমার এবং সুনীল শেট্টির বিপরীতে 'পূরব কি লায়লা পশ্চিম কি ছ্যায়লা' ছবিতে প্রথমে অভিনয় করেন। তবে ছবিটি আলোর মুখ দেখেনি।

বাস্তব, পুকার, অস্তিত্ব, কচ্চে ধাগের মতো জনপ্রিয় ছবির নায়িকা নম্রতা। এরপরই ফুল স্টপ পড়ে যায় তার ক্যারিয়ারে। ছবিগুলোর পরে  তার অভিনীত আর কোন ছবিই ব্যবসায় সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় নম্রতার আলো। 

বলিউড ছেড়ে তেলেগু ছবিতে যাত্রা  শুরু করলে বাঁক বদল শুরু হয় নম্রতার। তেলুগু সুপারস্টার মহেশের সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছর প্রেমের পর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তারা।

এরপরই অভিনয় ছেড়ে দেন নম্রতা। মন দেন ঘর-সংসারে। ২০০৬ সালে  তাদের ঘরে আসে পুত্র সন্তান। ছেলের জন্মর কয়েক বছর পরই মনোমালিন্য দেখা দেয় তাদের সংসারে। ঝামেলাও হয় অনেক। পরে অবশ্য দুই পরিবারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করেন মহেশ আর নম্রতা। এরপর ২০১২ সালে সিতারা নামে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নম্রতা। এখন দিব্যি সংসার করছেন মহেশ আর নম্রতা।