বগুড়ার শেরপুরে শুকনো বীজতলায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় থাকে কৃষক। ঘন কুয়াশা ও শীতজনীত রোগে বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের শুকনো বীজতলা তৈরীর পরামর্শ দিচ্ছেন। আর কৃষকরাও বীজতলার সুরক্ষার জন্য এই পরামর্শ গ্রহণ করছেন। অনেকেই এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে।

উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের কৃষক ইকবাল হোসেন জানান, এবার তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে শুকনো বীজতলা তৈরী করেছেন। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ার কারণে শীতজনিত রোগের প্রকোপ নেই। এছাড়া ২০/২২ দিনের মধ্যেই বীজতলা থেকে চারা রোপন করা যায়। এই পদ্ধতিতে খরচও কম। তাই তিনি সহ অনেকেই শুকনো বীজতলা তৈরী করেছেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, শুকনো পদ্ধতিতে  বীজতলা তৈরী করলে কোল্ড ইনজুরী থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তুলনামূলক ফলনও ভালো হয়। তাই কৃষকদের এমন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, শীতকালে বোরো বীজতলা নিয়ে কৃষকরা প্রতিবছরই নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের শুকনো বীজতলা তৈরীর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব বীজতলা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ব্যাতিক্রমী এই বীজতলা পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আ.ক.ম শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ ও কৃষিবিদ কামাল উদ্দিন তালুকদার। তারা শুকনো পদ্ধতিতে বীজতলা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।