শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বগুড়ায় বিভিন্ন সংগঠনের পথসভা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী ২০২০ ১১:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩০ বার।

শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বগুড়ায় বিভিন্ন সংগঠন পথসভা করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শহরের টিএমএসএস পাবলিক স্কুল, বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ এবং জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে তারা পথসভা করেন। এতে বগুড়ার ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রফন্ট্র, ছাত্রলীগ(জাসদ), যুব ইউনিয়ন, যুবমৈত্রী, যুবজোট, সুজন ও বাংলাদেশ  উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী অংশ নেয়। এসময় ওই সকল প্রতিষ্ঠানের সামনে সরকার নির্ধারিত শিক্ষার সকল র্ফি কার্যকর ও অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ শোষণ বন্ধের দাবি জানান। 

বগুড়া যুব ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুর রহমান ঝিলামের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, জাসদ শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক  হাসানুল মনজুর দোদুল, যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুকুমল দাস, সদর উপজেলার সভাপতি আবু বাশার চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দীয় সহ-সভাপতি  ও বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি মো: নাদিম মাহমুদ, আজিজুল হক কলেজ শাখার সভাপতি  আরমানুর রশিদ আকাশ, ছাত্রনেতা প্রান্ত। পথসভা পরিচালনা করেন ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সহ-সভাপতি আয়েন উদ্দীন।

সিপিবি নেতা আমিনুল ফরিদ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ পথসভায় টিএমএস ও বিয়াম স্কুলের শিক্ষক মন্ডলীরা বাধা দিয়ে কর্মসূচি পন্ড করতে চেষ্ঠা করে। শিক্ষদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর হয়ে যদি শিক্ষা বাণিজ্যের পক্ষে কাজ করে সেসব শিক্ষকদের কাছ থেকে কমলমতি শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত সম্ভবপর না।'

ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সভাপতি নাদিম মাহমুদ বলেন, 'সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সেশন ফি এবং ভর্তি ফি এর চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ক্রমেই বেড়ে চলছে।এই বর্ধিত শিক্ষা ফি এর জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এই বঞ্চিত শিশুগুলোই ধিরে ধিরে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।শিক্ষা ব্যবস্থার এই ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।'

বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে বানিজ্যিক মনোভাব পরিহার করে অবিলম্বে সরকার কতৃক ধার্যকৃত সেশন ফি নেওয়ার জোর দাবি জানান এবং সরকার ও হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তা অমান্য করে যে সকল স্কুল উন্নয়ন ফি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে গ্রহণ করছে ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের দাবি করেন। বগুড়া'র সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত সেশন ফি বাস্তবায়ণ না হলে বগুড়া'র জনগণ কে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।