রোগের নাম যখন ‘হোয়াটসঅ‌্যাপাইটিস’!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৪ বার।

ভার্চুয়াল জগতে আসক্ত হয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে নতুন এক আশঙ্কার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

হোয়াটসঅ্যাপে আসক্তরা আক্রান্ত হচ্ছেন নতুন একটি রোগে। বিশেষজ্ঞরা যার নাম দিয়েছেন ‘হোয়াটসঅ‌্যাপাইটিস’।

২০১৪ সালে নামকরা চিকিৎসা বিষয়ক মার্কিন জার্নাল ‘দ্য ল‌্যানসেটে’ এই অসুখটি প্রথম প্রকাশ পায়।

৩৪ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর হাতের কবজিতে আচমকা খুব ব‌্যথা শুরু পর হয়। দীর্ঘসময় মোবাইলে মেসেজ টাইপিংয়ের কারণেই তার হাতে ব্যথা শুরু হয় বলে চিকিৎসকেরা জানান।

চিকিৎসকদের ভাষ্য, দীর্ঘসময় ধরে হোয়াটসঅ‌্যাপে টেক্সট করায় অনেক সময় হাতের বুড়ো আঙুল থেকে শুরু করে কবজিতে খুব ব্যথা হয়। এমনকি হাতের পেশিকেও দুর্বল করে দেয়। অতিরিক্ত বার্তা আদান প্রদান করতে গিয়ে ব্যথা উদ্রেককারী অসুখের নামই হোয়াটসঅ‌্যাপাইটিস।

এই রোগের উপসর্গের হচ্ছে, কবজির বাইরের দিক বা বুড়ো আঙুলের দিক ব্যথা কিংবা আড়ষ্টতা তৈরি হওয়া, বুড়ো আঙুলের ভেতরের দিকে ব্যথা বা ফুলে ওঠা, হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে ব্যর্থ হওয়া, বুড়ো আঙুলে ব্যথাসহ জ্বালা জ্বালা ভাব। 

এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষেধকের পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য তীব্রতা অনুসারে ব্যথার প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। ঠান্ডা সেঁক দিলে পাওয়া যাবে উপকার। হাত ও কবজির ব্যায়াম তো আছেই। তবে  ক্রনিক সমস্যায় লেজার বা আল্ট্রাসোনিক থেরাপি করা যেতে পারে। এমনকি পেশিতে ইনজেকশন পুশ করাসহ অপারেশন করানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

তবে হোয়াটসঅ‌্যাপাইটিস থেকে বাঁচার একটিই উপায়, তা হলো স্মার্টফোন আসক্তি কাটানো। যাদের বেশি বার্তা আদান-প্রদানের প্রয়োজন হয় তারা চাইলে ভয়েস কমান্ডের সহায়তা নিতে পারেন। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ হাতে না রেখে টেবিলের ওপর স্মার্টফোন রেখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে হাতের ওপর চাপ কমবে।