প্রেম করে বিয়ে, স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরদিনই স্বামীর আত্মহত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৭ বার।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরদিনই ওসমান গনি (৩১) নামে এক ব্যাংকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়ির রান্নাঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। 

ওসমান ওই এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে এবং ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার কর্মকর্তা। নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নগরের চৈতন্যগলিতে দাফন করা হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন 

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বাড়ির অন্যান্যরা ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরের দরজা বন্ধ পায়। এ অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে ওসমানের মা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে সিলিংয়ের সঙ্গে রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওসমানকে দেখতে পান। এ সময় তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। 

নিহতের স্ত্রী শাকিলা আকতার জানান, ২০১৬ সালে ওসমানের সঙ্গে আমার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে আমরা চট্টগ্রাম সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের কাছে হলফনামামূলে বিয়ে করি। হলফনামায় বার লাখ টাকা দেনমোহর এবং ৫০ হাজার টাকা উশুল উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকে আমরা টেকনাফে একসাথে সংসার করে আসছি। তার পরিবার প্রথমে আমাদের সম্পর্ক মেনে না নিলেও শুক্রবার আমি তাদের বাড়িতে গেলে তারা আমাকে ঘরে তুলে নেয়। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আহমদ নুর সাগরসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর পাই রান্না ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন ওসমান।

ওসমানের এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে ওসমানের বিয়ের বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতো না। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করলে ওসমান তা পরিবারকে জানায়। পরিবার প্রথমে মেনে না নিলেও শুক্রবার মেনে নেয়। 

পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রোকন উদ্দিন জানান, ‘আমরা পটিয়া হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওসমান দুই বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্ত পরিবার তা জানতো না। শুক্রবার স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরদিন তিনি আত্মহত্যা করেন।