গুয়েতেমালায় গৃহযুদ্ধের শুরু ১৯৬০ সালে। এর সমাপ্তি হয় ১৯৯৬ সালে। মার্কিন সমর্থনপুষ্ট গুয়েতেমালা সরকার দেশটির সমাজতন্ত্রী গেরিলাদের বিরুদ্ধে নির্মম অভিযান শুরু করলে এই যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করে। যুদ্ধে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায়। বামপন্থীদের ঠেকাতে গড়ে ওঠা কাইবিলস নামের বাহিনীটিকে সহায়তা দিত যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধের এক পর্যায়ে, ১৯৮২ সালে কাইবিলসের সদস্যরা দস এরেস গ্রামে উপস্থিত হয়। তাদের সন্দেহ ছিল, গ্রামবাসী বামপন্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সেখানে গিয়ে তারা এক বামপন্থী নেতার খোঁজ করে যার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে ২১ সেনা সদস্যকে হত্যার অভিযোগ ছিল। কিন্তু তল্লাশি চালিয়ে গ্রামে তাকে বা বা লুট হওয়া অস্ত্রের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও কাইবিলসরা গ্রামবাসীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। টানা কয়েক দিন ধরে গুলি করে ও পিটিয়ে নারী, পুরুষ শিশু নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করে তারা। বেশিরভাগ মৃতদেহই ফেলে দেওয়া হয় কূপের মধ্যে।
এদের হত্যার দায়ে সান্তোস লোপেজকে পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৭১ জনের প্রত্যেকের মৃত্যুর জন্য ৩০ বছর করে। কিন্তু বিবিসি জানিয়েছে, গুয়েতেমালার আইন অনুযায়ী কাউকে ৫০ বছরের বেশি কারাগারে রাখা যায় না। লোপেজ ছাড়াও তার আরও পাঁচ সহযোগী সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছে।
দস এরেসের হত্যাকাণ্ডটি যখন সংগঠিত হয় তখন গুয়েতেমালার ক্ষমতায় এফরেইন রিওস মন্ট। তার বিরুদ্ধে মায়া আদিবাসী গোত্রের এক হাজার ৭০০ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ছিল। গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলাকালে ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে মন্ট।