নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে শিশু নিহত

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ইয়াসিন আহাম্মদ নামে আট মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা ও বাবাসহ আরও দুই ভাইবোন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে শহরের বাবুরাইল বটতলা এলাকায় স্থানীয় ইট বালুর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর যুগান্তর অনলাইন

আহত তোফাজ্জল হোসেনের খালাতো ভাই রাকিব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার তোফাজ্জল হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩০) এবং তাদের তিন সন্তান হালিমা বেগম (১১) মোহাম্মদ হোসেন (৯) ও আট মাসের শিশু সন্তান ইয়াসিন আহাম্মদকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।

ভোর পৌনে ৫টার দিকে বিকট শব্দে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে দেয়াল ধসে পড়ে। এতে দেয়াল চাপা পড়ে পাঁচজনই গুরুতর আহত হন। তাদের ঘরের আসবাবপত্র সব চুরমার হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ফেরদৌসী বেগম ও তার দুই ছেলে মেয়েকে আইসিউতে রাখা হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকার সড়কের নিচে গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকেই তোফাজ্জল হোসেন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিস্ফোরণ হয়েছে। তাদের পাশের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকও বিস্ফোরণ হয়েছে তবে কেউ হতাহত হয়নি।

এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের গণমাধ্যমকে জানান, এই গ্যাস পাইপ লিকেজের ব্যাপারে ইতিপূর্বে তিতাস কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। তবে তারা সেটি মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।