করোনা প্রতিরোধে বগুড়ায় কাজ করছে এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২০ ১০:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৮৭ বার।

সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস। এটি মোকাবিলায় যখন নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে সবাই ব্যস্ত তখন বগুড়ায় সবাইকে সচেতন ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘করোনা ও বগুড়ার পরিস্থিতি’ নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ। যেখানে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি বগুড়া শহর সহ ১২টি উপজেলায় কাজ করছে এক ঝাক স্বেচ্ছাসেবী। সেই সাথে গ্রুপে জেলা প্রশাসনসহ নানা পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছেন।

করোনা ভাইরাসের (কোভিড১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। অনেকেই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছেন। তবে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য (চাল,ডাল,তেল,লবন ইত্যাদি) কিনতে বা জরুরি প্রয়োজনে বগুড়াতে অনেকেই  বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। জরুরিপ্রয়োজনে বের হওয়া এসব মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছে গ্রুপের সদস্যরা।


গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফেসবুক গ্রুপে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করতে আগ্রহীদের যোগোযাগের জন্য পোস্ট করেন এডমিন প্যানেলের অন্যত্তম সদস্য ডিবিসি নিউজ বগুড়ার প্রতিনিধি রাকিব জুয়েল। সাথে সাথে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে জানান। সেই সাথে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যাপক সাড়া মেলে। পরেরদিন শুক্রবার বিকালে রাকিব জুয়েলের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত  করে দেয়া হয়।


'করোনা ও বগুড়ার পরিস্থিত' গ্রুপের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে করণীয় এবং কোন বাধা থাকলে এডমিন গ্রুপ সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দিচ্ছেন।

এর আগে এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অলক পাল এর কন্ঠে বগুড়ার ভাষায় করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক রেকর্ডিং পুরো জেলায় মাইকিং এর মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে জেলা পুলিশ ব্যাপক সহযোগিতা করে। 

এই নিয়ে গ্রুপের এডমিন রাকিব জুয়েল জানান, লোকজনের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে শহরসহ  বিভিন্ন উপজেলায় ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে তিন ফুট দূরত্বে এ চিহ্ন এঁকে দেওয়া হচ্ছে  । চিহ্ন মেনে কেনাকাটা করতে স্থানীয়দের আমরা উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ক্রেতারা এসে এসব চিহ্নিত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন। সামনের ব্যক্তি কেনাকাটা করে স্থান ত্যাগ করলে পেছনের ব্যক্তি চিহ্নিত স্থানে অপেক্ষা করছেন। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন একে অন্যের সংস্পর্শে আসছেন না।

করোনা প্রতিরোধে বগুড়ায় যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।