বগুড়ায় অগ্নিদগ্ধ শিশু রেদোয়ানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

আদমদিঘী( বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৬১ বার।

ফুল হয়ে ফুটে উঠার আগে কুড়িতেই ঝড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে শিশু রেদোয়ান। মাত্র আট বছর বয়সের নিস্পাপ শিশুটি জানে না তার জীবন প্রদীপ নিভতে বসেছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক আসেদুল ইসলামের ছেলে সান্তাহার দারুল উলুম মাদরসা ও এতিমখানার মকতব শ্রেনির ছাত্র রেদোয়ান হোসেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে শরীরের ৪০ ভাগ অংশ পুড়ে ্এখন অর্থাাভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই নিস্পাপ শিশুটিকে হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে বাঁচাতে বিপুল টাকার প্রয়োজন। কিন্ত তাদের এতো টাকা না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারছেন না এই গরীব পরিবার।
জানাযায়, করোনাভাইরাসের কারনে গত ১৮ মার্চ মাদরাসা বন্ধ ঘোষনা করার পর শিশু রেদোয়ান হোসেন দমদমা গ্রামে যায়। বাড়িতে থাকা কালে গত ২০ মার্চ দুপুরে তার মা মনোয়ারা বেগম রান্না কাজ করার সময় রেদোয়ান মিষ্টি আলু পোড়াতে চুলায় যায়। এসময় অসাবধানতায় তার পড়নের গামছায় আগুন লেগে শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। দগ্ধ রেদোয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ৩১ মার্চ নওগাঁ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দেন। সেখান থেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে দমদমা গ্রামে বাড়ীতে নিয়ে আসে দগ্ধ শিশু রেদোয়ানকে। সে প্রায় ১৫দিন যাবত বিনা চিকিৎসায় বাড়ীতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। শিশু রেদোয়ান হোসেনের বাবা ভ্যান চালক আশেদুল ইসলাম ও মা মনোয়ারা বেগম জানায়, চিকিৎসক জানিয়েছেন রেদোয়ানকে সুস্থ্য করে তুলতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। কিন্ত এতো টাকা জোগার করা আমাদের মোটেই সম্ভব নয়। তাই দেশের প্রধান মন্ত্রীসহ বিত্তবানদের নিকট শিশু রেদোয়ানকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আকুল আবেদন করেছেন। তাকে সাহায্য পাঠাতে ০১৭৯৮-৭৬০৩৫১ নম্বর মোবাইলে বিকাশ করতে অথবা সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ করেছেন শিশুর বাবা মা।