‘সিন’ এর নগ্নতায় কি সাবালক হলো বাংলা ওয়েব সিরিজ!

‘সিন’ এর মাধ্যমে কলকাতার বাংলা ওয়েব সিরিজ সাবালক হলো না কি আবারও নগ্নতাকে পণ্য করে তোলা হলো তা নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। আড্ডাটাইমসের এই নতুন সিরিজটি শুক্রবার মুক্তি পেতেই আলোড়ন তুলে দিয়েছে সিনে মহলে।

'সিন'এর পরিচালক অরুনাভ খাসনবিশ। আলো-আঁধারি দৃশ্যপটে টানটান উত্তেজনা ও যৌনতায় ভরা সিরিজটি আগ্রহ জাগিয়েছে দর্শকদের মধ্যে। মূলত তিনটি প্রধান চরিত্র রয়েছে সিরিজটিতে। অল্প বয়সী এক যুগল ও একজন পুলিশ অফিসার-এই তিনটি চরিত্রই রহস্য রোমাঞ্চ এই সিরিজটির কেন্দ্রবিন্দুতে। আপাতদৃষ্টিতে এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল না, কিন্তু একটা খুন সমস্ত হিসেব ওলট-পালট করে দেয়। বেরিয়ে পড়ল নগ্ন রূপ। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে কোনও কোনও অপরাধে দেখা যায় যৌনতার একটা ভূমিকা থাকে।

প্রশ্ন হল, থ্রিলারে যৌনতার এই ব্যবহার কি শুধু টিআরপি বাড়ানোর জন্য? অরুণাভর কথায়, এটা ঠিকই যে যৌনতা বিক্রি হয়; তবে আমার গল্পের প্রয়োজনেই ন্যুড দৃশ্যের ব্যবহার করা হয়েছে। কখনোই অশ্লীল মনে হবে না বলে আমার মনে হয়। তবে একথা বলতে পারি সম্ভবত এর আগে কোন বাংলা ওয়েব সিরিজে এরকম ফুল ন্যুডিটি দেখানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, এই সিরিজের মূল চরিত্র নির্বাচনের জন্য প্রায় দুহাজার ছেলে-মেয়ের অডিশন নেওয়া হয়েছিল। এই সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন আরিয়ান রায়, শ্বেতা মিশ্র, জয়দেব সিংহ ও নবনীতা চক্রবর্তীসহ অন্যরা। সিরিজটি প্রথমে হিন্দিতে শুট করে পরে বাংলায় ডাব করা হয়েছে।

সিরিজের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্বেতা মিশ্র, কোনওদিনও চাননি ছয় পর্বের ওই সিরিজের থেকে মাত্র কয়েকটি সঙ্গমের বা চুমুর দৃশ্য দেখে লোকে তাকে চিনুক, মনে রাখুক। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি সাহসী হতে পিছ পা করেন নি। এ জন্য অবশ্য বাড়ির লোকের বিশেষ করে মায়ের অনুমতি নিতে হয়েছে তাকে। আর তার মা নিজের মেয়ের ওপর ভরসা রেখে অনুমতিও দেন। শ্বেতা বলেন, এই ভরসার জোরেই বোধহয় এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারার সাহস হয়েছিল।

বিশেষ সেই সব দৃশ্যে অভিনয় করার সময় কাঁপছিলেন তিনি। পরিচালক থেকে সহ অভিনেতা, সবটাই খুব সহজেই সহজ করে নিয়েছিলেন।