লাখ লাখ টাকার ক্ষতি

আদমদীঘির বিনোদনকেন্দ্র গুলো তিন মাস বন্ধ

আদমদিঘী(বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০ ১০:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৩ বার।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অবস্থিত শখের পল্লী, ফারিস্তা, রক্তদল বিল প্রজেক্ট ও বাইপাস এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের আর ভীড় নেই। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে বিপুল দর্শনার্থীর সমাগম ঘটলেও এবার ছিল ভিন্ন রুপ। করোনাভাইরাস সংক্রমন আতংকে প্রায় ৩ মাস যাবত এসব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোকজনের সমাগম নেই। কতৃপক্ষ মুল গেট বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিনিয়ত লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। বিনোদন কেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মচারীদের বেতনভাতাদিও প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন কতৃপক্ষ। কর্মচারীরা কোন রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তিয়রপাড়া ফারিস্তা ও বশিপুর শখের পল্লী নামের দুইটি বিনোদন কেন্দ্র ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ৫ বছর আগে বিনোদন কেন্দ্র চালু করা হয়। এছাড়া কদমা রক্তদহ বিল প্রযেক্ট ও পাইপাস এলাকায় উম্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিনোদন কেন্দ্র গুলো প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশেষ করে শখের পল্লী ও ফারিস্তা বিনোদন কেন্দ্রে মিনি চিড়িয়াখানা, সুইমিংপুল, রেললাইন, নাগরদোলাসহ শিশু ও যুবক যুবতিদের বিনোদন দেয়ার মতো যথেষ্ট সরঞ্জাম ছিল। এই বিনোদন পার্কে শুধু আদমদীঘি নয় বগুড়া, নওগাঁ , নাটোর, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড় এমনটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেন-বাস, মাইক্রে ও ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়াও যানবাহন যোগে শখের পল্লী ফারিস্তাসহ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে শতশত বিনোদন প্রেমিরা আসতেন। উপভোগ করতেন মনের আনন্দ।প্রতিদিন দর্শনার্থীদের পদচারনায় মূখরিত থাকতো পার্ক গুলো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে গত ১৮ মার্চ থেকে এসব বিনোদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করা হয়। এবারের ঈদে বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে যেন দর্মনার্থীহিন হয়ে নীরবতা পালন করেছে পার্ক গুলো। শুধু পরিচ্ছন্ন কর্মি ছাড়া মিলছেনা কারো দেখা। এ যেন এক ভিন্ন চিত্র। শখের পল্লী বিনোদন কেন্দ্রের স্বাধিকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান,শখের বসে বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে মুনাফা অর্জন আমার বড় লক্ষ নয়, এলাকার বেকার জনগোষ্ঠিকে কাজে লাগানোর পাশাপশি বিনোদন পিপাসুদের চাহিদা মেটানো মুল লক্ষ্য। করোনাভাইরাসে বিনোদন কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক যন্ত্রপাতিতে মরিচা নষ্ট হতে চলেছে। কর্মচারীরা অলস কাটাচ্ছেন। পার্ক বন্ধ থাকায় লাখ লাখ টাকা লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।