পুলিশী নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যু

আমেরিকায় বিক্ষোভ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে

মোর্শেদ টিটো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০ ০৭:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৫৫ বার।

পুলিশী নির্যাতনে জর্জ ফ্লোয়েড (৪৬) এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার মেনিসোটা রাজ্য। ২৫ মে ওই ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদেরকে পাঁচদিনেও গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে ৩০ মে’র পর থেকে অন্যান্য রাজ্যেও দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয়কে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সব বয়সী আমেরিকান ওই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। 
বিক্ষোভকারীরা গত ৩০ মে মেনিসোটা রাজ্যের পুলিশ স্টেশনসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বাড়ি এবং যে স্থানে জর্জ ফ্লোয়েডের ওপর নির্যাতন চালানো হয় ‘টার্গেট’ নামেই সেই স্টোরেও হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৩ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তাতে সকল বয়সী আমেরিকানরা জড়িয়ে 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও বুলেট ছুঁড়তে শুরু করলে আমেরিকান জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তারা আরও মারমুখী হয়ে পুলিশ স্টেশনের কাছে এপার্টমেন্ট ভবন, দোকান-পাট ও গাড়িগুলো ভাংচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় পুলিশ স্টেশনসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বাড়ি এবং সংশ্লিষ্ট স্টোরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম প্রশাসন ৩১ মে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে. শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমেরিকায় সোস্যাল মিডিয়া যেকোন সময় বন্ধ করা  হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে
আমেরিকার মেনিসোটা রাজ্যের মিনিপোলিস সিটিতে ‘টার্গেট’ নামক একটি স্টোর থেকে চুরি করা হয়েছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ মে ওই স্টোরে বাজার করতে আসা জর্জ ফ্লোয়েড (৪৬) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে পার্কিং লটে গ্রেফতার করে পুলিশ। আমেরিকার বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে দেখা যায় কিছুক্ষন পর পুলিশ সদস্য জর্জ ফ্লোয়েডকে মাটিতে শুয়ে দেয় এবং হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে রাখে। সেই সময় জর্জ ফ্লোয়েড ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলে বার বার বললেও পুলিশ সদস্যরা বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে তার গলা চেপে ধরেই থাকে। এক পর্যায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃষ্টির মধ্যই করোনার সংক্রমনকে উপেক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত আমেরিকানরা বিক্ষোভ শুরু করে।
ঘটনার পরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪ জন পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা হয় বলে পুলিশ প্রশাসন থেকে প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শুধু চাকুরিচ্যুত নয় তাকে গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকে।