শহরের চেলোপাড়াতেই ৫জন

বগুড়ায় চিকিৎসকসহ আরও ৩৫জন করোনায় আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০ ১৫:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৪১ বার।

করোনাভাইরাস বগুড়ার নানা বয়সী আরও ৩৫ ব্যক্তিকে সংক্রমিত করেছে। তাদের মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকও রয়েছেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন রোববার রাত ৮টার পর এ তথ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩৫৭জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন। 
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, নতুন আক্রান্ত ৩৫জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২জন বগুড়া সদরের বাসিন্দা। এছাড়া শেরপুরের ৭জন, গাবতলীতে ৪জন, ধুনট, সারিয়াকান্দি ও নন্দীগ্রামে ৩জন করে ৯জন করোনা পজিটিভ রয়েছেন। অন্য উপজেলারগুলোর মধ্যে দুপচাঁচিয়া, শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জ আরও একজন করে ৩জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। তাদের নমুনা গত ২৭ মে থেকে ২৯ মে’র মধ্যে নেওয়া হয়েছে।
রোববার বগুড়ায় মোট ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ১৮৮টি এবং বাকি ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে। শজিমেকের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনার মধ্যে বগুড়ার ছিল ১৭৭টি। তার মধ্যে ৩৫টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। অবশ্য রোববার প্রথম দিন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের ৫টি নমুনার সবগুলোই নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। 
বগুড়া সদরের ১২জনের মধ্যে ৫জনের বাড়ি শহরের চেলোপাড়া এলাকায়। মাটিডালি এলাকার রয়েছেন ২জন এবং সেউজগাড়ি, জলেশ্বরীতলা ও রাজাবাজার এলাকার একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়ির ঠিকানা অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি।
করোনা পজিটিভদের বয়স বিশ্লেষণ করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, গেল চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের সংখ্যা হলো ২৫। এছাড়া ৫১ থেকে ৭০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয়েছেন ৭জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন মাত্র দু’জন। আর ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ শিশুদের মধ্যে মাত্র ১জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি মিলেছে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, নতুন আক্রান্তদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে প্রয়োজন হলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।