বগুড়ায় ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠাল পুলিশ

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০ ০৯:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩১৬৫ বার।

বগুড়ার কামারগাড়ী এলাকায় ভাড়ার দাবিতে মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসে ১৩ ছাত্রীকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা  সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার পর ছাত্রীরা ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করে।

ওই ছাত্রীনিবাসের ছাত্রী সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রুমা খাতুন বলেন, 'আজ ওই হোস্টেলে আমি সহ ১৩জন ছাত্রী আসি। আমি আমার রুমে গিয়ে দেখে সমস্ত রুম তছনছ করে রাখা। পরে দেখি আমার জামা কাপড়সহ দামী জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আমার মত আরেক জনের রুমেও চুরি হয়েছে। যেখানে চুরি হয় সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। তারপরেও হোস্টেলের ইনচার্জ তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে হোস্টেল ত্যাগ করার কথা বলে।'

ছাত্রীনিবাসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা বলেন, 'আমি করোনার কারণে বাড়িতে চলে যাই। আজ হোস্টেলে বই পত্র নিতে আসলে তিন মাসের ভাড়া ছাড়া হোস্টেল থেকে বের হতে বাধা সৃষ্টি করে।' 
তিনি আরও বলেন, 'গরমের সময় প্রায়ই নিচতলায় অনেকগুলো সাপ বের হয়। হোস্টেলের সবাই আতঙ্কে থাকে।'

মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগম জানান, এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দিবে না। পরে মালিক আব্দুল্লাহ হেল কাফীর সাথে কথা বললে দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন। তবে রুমে চুরি হওয়ার এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। যার টাকা আছে সে দিয়ে যাবে। আর যার নাই সে পরে এসে দিবে। তবে টাকার জন্য কোন ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না।
তিনি আরও জানান, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যদি তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই ছাত্রীনিবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।