বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ১১৩ সদস্যকে সংবর্ধনা দিল জেলা পুলিশ
অরূপ রতন শীল
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বগুড়ায় পুলিশের মুক্তিযোদ্ধা ১১৩ সদস্যকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে স্থানীয় পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া তাদেরকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তরীয়ও পরিয়ে দেওয়া হয়।
বগুড়া পুলিশ লাইন্সের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া কমা-ের সাবেক কমা-ার রুহুল আমিন বাবলু, জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশা সায়ীদ ও মাসুদ হোসেন নোবেল।
বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যরা ১৯৭১ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে পুলিশ বাহিনীতে তারা কনস্টেবল থেকে সহকারি পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তারা অবসর নেন। বর্তমানে তারা বগুড়ায় বসবাস করছেন।
সভায় সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিত বগুড়ার পুলিশ সুপার জেলার সব থানায় মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের ছবি সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া যে কোন সমস্যায় পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে না বলেও জানিয়ে দেন। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদেরকে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা গল্প আকারে লেখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা লিখুন। আমরা সেই লেখাগুলো আমরা বই আকারে প্রকাশ করবো।’
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তা ইমতেজার রহমান, আজিজুর রহমান, মনসুর রহমান এবং শহীদ পরিবারের সন্তান বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান খান জেলা পুলিশের এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলায় সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত তিন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান ম-ল, আব্দুল জলিল, মোকবুল হোসেন ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সহকারী পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা শুভ, রুকসানা সুজানা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।