পাবনায় স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার পচন ধরা লাশ উদ্ধার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২০ ১৮:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্ত্রী-কন্যার পচন ধরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে দক্ষিণ রাঘবপুরের একটি বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ লাশগুলি উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ৩-৪ দিন আগেই ঘটেছে। মরদেহে পচন ধরেছে এবং গন্ধ ছড়াচ্ছে।    
নিহত তিনজন হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জব্বার (৬২), তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫৬) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (১২)।
পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহম্মেদের বরাত দিয়ে যুগান্তরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ রাঘবপুরের জনৈক আবদুল খালেকের দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি ইউনিটে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন আবদুল জব্বার। পাশের ইউনিটটি ফাঁকা ছিল। বাড়ির মালিক ঢাকায় থাকেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ওই বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে আবদুর জব্বার ও তার স্ত্রী এবং অপর একটি কক্ষ থেকে মেয়ে সানজিদার লাশ উদ্ধার করে। সানজিদা পাবনা শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
লাশের শরীরে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ এবং মুখে বালিশ চাপা দেয়া দেখে পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তিনজনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। বাসার কক্ষগুলো তছনছ করা এবং আলমিরা ভাঙ্গা ছিল।
লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহত আবদুল জব্বারের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান (৫০) এবং ছোট বোন নাজমা আকতার (৪৫) ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে তারা কোন ধারণা দিতে পারেননি পুলিশের কাছে।  
আবদুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে। তিনি পাবনায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে অফিসার হিসেবে অবসর নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। নিঃসন্তান আব্দুল জব্বারের পালিত মেয়ে ছিল সানজিদা।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম গণমাধ্যমকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি শেষে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে হত্যা করে থাকতে পারে।  
পুলিশের একাধিক ইউনিট রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে। এ ছাড়া রাজশাহী থেকে পুলিশের ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ টিম আসছে বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য ক্রাইম ইউনিটের টিম না আসা পর্যন্ত পুলিশ বাড়িটি পাহারা দিবে বলেও জানান পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।

পুণ্ড্রকথা/জাআ