শোলাকিয়ায় সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭২ বার।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সৈয়দ আশরাফের জানাজায় অংশ নেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১২টার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয়। জানাজায় অংশ নিতে আগে থেকেই সেখানে সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ।

শোলাকিয়ায় জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ময়মনসিংহে নেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহে তৃতীয় জানাজা শেষে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ পুনরায় ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে বাদ আছর সৈয়দ আশরাফকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

কিশোরগঞ্জে নেওয়ার আগে রোববার সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।

জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সৈয়দ আশরাফের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারাও সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সৈয়দ আশরাফের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে সৈয়দ আশরাফের রুহের মাগফিরাত কামনার দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি এক মেয়ে এবং বহু রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতাকর্মী রেখে গেছেন।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ গ্রহণ করেন।

বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর ২১, বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে শেষবারের মতো প্রিয় নেতাকে দেখতে ভিড় জমান আত্মীয়-স্বজন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

পরে বেইলী রোডের বাসভবনে থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। রাতে এই হাসপাতালের হিমঘরেই রাখা হয় তার মরদেহ। রোববার সকালে সিএমএইচ থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।