মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা : বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন ট্রাম্প

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম ১৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ডেমোক্রেট নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী এবং সিনেট সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করার ব্যাপারে আগের অবস্থানে অটল থাকলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনা থেকে বের হয়ে আসেন।

ট্রাম্প এই বৈঠককে তার ভাষায় ‘সময়ের সম্পূর্ণ অপচয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথমবারের মত ৮ লক্ষের মত মানুষ এই সপ্তাহে তাদের বেতন পাবেন না।

প্রেসিডেন্ট পরে এক টুইটে ডেমোক্র্যাট দলের বড় নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখেন ‘বাই-বাই’। এদিকে হোয়াইট হাউসের বাইরে এনিয়ে দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।

হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী ট্রাম্পকে বলেন, বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারাটা একই সঙ্গে আরেকটা ক্ষতি। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মনে হচ্ছে তাদের প্রতি অসংবেদনশীল হচ্ছেন। তিনি হয়তবা মনে করছেন তারা তাদের বাবার কাছে অর্থ চাচ্ছেন।’

চাক শুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পেলোসী যখন দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিতে রাজি হননি তখনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনার মাঝখানে উঠে চলে যান।

চাক শুমার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পিকার পেলোসীকে জিজ্ঞেস করেছেন আপনি কি আমার দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে রাজী আছেন? পেলোসী বলেন না তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন তাহলে আমাদের আলোচনা করার কিছুই নেই এবং তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন।

মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেট দলের নেতাদের টেলিভিশনে এক ভাষণে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়।

এ কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে চলমান যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম আংশিক বন্ধ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ বাবদ ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৫৭০ কোটি ডলার পাশ করাতে চান যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে মনে করছেন ডেমোক্রেটরা।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি হতাশ কারণ ডেমোক্রেটরা ভালো বিশ্বাসে আলোচনা করতে রাজী ছিল না। আরেকজন রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যককার্থি বলেন, তিনি ডেমোক্রেট নেতাদের ব্যবহার অস্বস্তিকর মনে করেছেন।