তিনি পুণ্ড্রকথার চীফ রিপোর্টার অরূপ রতন শীলের ভগ্নিপতি

বগুড়ায় সড়কে শ্রমিকদের কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্মকর্তা সুশান্ত নিহত

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০১৯ ১৭:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৬ বার।

বগুড়া-সান্তাহার সড়কে শ্রমিকদের কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে সুশান্ত কুমার সরকার (৩৫) নামে  পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাজারদীঘি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় রাশেদুল ইসলাম নামে অপর এক কর্মকর্তা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। নিহত সুশান্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিদর্শক ছিলেন।

তিনি দৈনিক সমকালের পাঠক সংগঠন সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক এবং অনলাইন দৈনিক পুণ্ড্রকথা’র চীফ রিপোর্টার অরূপ রতন শীলের ভগ্নিপতি। ওই ঘটনায় সড়কে গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দুপচাঁচিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুতায় বোর্ডের পরিদর্শক সুশান্ত কুমার সরকার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শনিবার সকালে দুপচাঁচিয়ায় এসেছিলেন। কাজ শেষে বিকেলে তারা দু’জন মোটর সাইকেল নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন আর তার পেছনে সুশান্ত কুমার বসে ছিলেন। ওদিকে বগুড়া-নওগাঁ সড়ক প্রশস্থকরণের জন্য বাজারদীঘি এলাকায় সড়কের পাশে বন বিভাগের লাগানো গাছ কাটছিল একদল শ্রমিক। 
সুশান্ত সরকারকে বহনকারী মোটর সাইকেলটি বিকেল ৫টার দিকে বাজারদীঘি এলাকায় পৌঁছার পর একটি গাছ সরাসরি তার মাথার ওপর পড়ে। এতে তার মাথার মগজ বেড়িয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারসহ স্বজনরা দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সড়কের পাশে গাছ কাটায় নিয়োজিত ঠিকাদার এবং তাদের নিয়োজিত শ্রমিকদের খামখেয়ালি আচরণের কারণেই ওই দূর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ওই দূর্ঘটনার দায় ঠিকাদার এবং শ্রমিকদের ওপরই বর্তায়। যেহেতু মামলা হয়েছে তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার সরকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি রোটারী ক্লাব অব বগুড়া করতোয়া’র পাস্ট প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কাহালু উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বড় ছেলে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও কলেজের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
দক্ষ কর্মকর্তা, সমাজ সেবী ও সদালাপী সুশান্ত কুমার সরকারের মৃত্যুতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুত সমিতি, রোটারী ক্লাব, পূজা উদযাপন পরিষদ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এবং অনলাইন দৈনিক পুণ্ড্রকথার পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।