বিজয় নয়, গণতন্ত্র হত্যার উৎসব করেছে আ’লীগ: রিজভী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৯ বার।

ভোটের বিজয় নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যার উৎসব করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের কোটি কোটি টাকা শ্রাদ্ধ করে গতকাল শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তথাকথিত বিজয়ের উৎসব উদযাপন করেছে সরকার। এটা আসলে বিজয় নয়, গণতন্ত্র হত্যার উৎসব ছিল।

ভোট ডাকাতির পর নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য সরকার যা যা করছে তা চরম হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সারা দেশ থেকে বাসভর্তি ভাড়াটে লোকজন এনেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তার দলকে বিজয়ী করার জন্য জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন-জনগণ নাকি এবার স্বতঃস্ফূর্ভভাবে ভোট দিয়েছে।

‘শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যে জনগণ হাসবে না কাঁদবে তা তারা ভেবে পাচ্ছে না। যখন ভোট ডাকাতির ঘটনায় জনগণ ব্যথিত, বিমর্ষ ও বাক্যহারা, তখন তাদেরকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য নিষ্ঠুর রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

রিজভী বলেন, জনগণ মনে করে- ভুয়া ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। কারণ ভোটের আগের দিন রাতে তারাই নৌকা মার্কায় সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছেন।

‘সুতরাং গোপনে উৎকোচ দেয়া হলেও প্রকাশ্যে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ ছিল প্রধানমন্ত্রীর।’

ভোট ডাকাতির কেলেঙ্কারি আড়াল করতে বর্তমান সরকার বৈধতা পেতে এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেনদরবার শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করে রিজভী।

তিনি বলেন, এরকম ভুয়া ভোটের নির্বাচন বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষ ও তাদের নির্বাচিত সরকারের কাছে কানাকড়ি মূল্য নেই। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সরকার কখনোই টিকতে পারেনি।

রিজভী আরও বলেন, মিথ্যা জয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছে। কুৎসিত অপকর্ম করতে তারা এখন বেপরোয়া। তারা বিরোধী দলের সহায়-সম্পত্তি দখল ও লুটের পাশাপাশি নারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন।খবর যুগান্তর অনলাইন