সংরক্ষিত আসন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ৪৯ নারী!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৪ বার।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনের মনোনয়নপত্র গত মঙ্গলবার বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ শনিবার কেউ সরে না গেলে প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। প্রত্যাহার না করলে আজই সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। তিনি আরও জানান,  শুক্রবার পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার তালিকা ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভোট গ্রহণ হবে ৪ মার্চ। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।

দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ৪৩টি আসন, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, জাতীয় পার্টি চারটি, স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী মিলে একটি এবং বিএনপি জোট একটি আসন পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা : আওয়ামী লীগ থেকে যে ৪৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করে বৈধ হয়েছেন তারা হলেন ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী। এ ছাড়া বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম ও মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

 

রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ জমা দেন।

জাতীয় পার্টির চার নারী সদস্য হলেন সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী। ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রার্থী হচ্ছেন সেলিনা ইসলাম। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা একটি আসন পেলেও শপথ না নেওয়ায় আপাতত সেই পদটি খালি থাকছে। তারা সংসদ অধিবেশন শুরুর নব্বই দিনের মধ্যে শপথ না নিলে নির্বাচন কমিশন সেসব আসনে আবার নির্বাচন দেবে। এরপর নারী আসনের অবশিষ্ট একটি পদ পূরণ করা হবে।