সন্তান জন্মদানের পর জানলেন তিনি গর্ভবতী ছিলেন!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৩ বার।

ব্রিটিশ কিশোরী এবনি স্টিভেনসন সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যান। এরপর ১৮ বছর বয়সী এই কিশোরীর যখন জ্ঞান ফেরে তখন তার পাশে ফুটফুটে এক কন্যাশিশু। এই শিশু যে স্টিভেনসনের নিজেরই এটা জানার পর তিনি বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েন। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত ওল্ডহ্যাম শহরে সম্প্রতি এ ঘটন ঘটেছে।

হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন স্টিভেনসন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ডাক্তাররা আবিষ্কার করেন, স্টিভেনসন সন্তানসম্ভবা এবং পেটের শিশুকে বাঁচাতে হলে দ্রুত সিজার করতে হবে।

স্টিভেনসনের মা এই কথা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কারণ মেয়ের শরীরের গর্ভধারণের কোনো লক্ষণই ছিল না।

কিন্তু ডাক্তাররা তাকে দেখান, হঠাৎ-হঠাৎ একটু সময়ের জন্য কিভাবে ফুলে ওঠে স্টিভেনসনের পেট। অবশেষে অস্ত্রোপচার হয়। জন্ম নেয় ফুটফুটে এক কন্যাশিশুর।

চিকিৎসকদের তখনও অবাক হওয়া বাকি। জ্ঞান ফিরে স্টিভেনসন জানান, গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টা তিনি নিজেও জানতেন না। এমনকি গর্ভবতী নারীদের পেট যেভাবে ফুলে উঠে তার ক্ষেত্রে সেটাও ঘটেনি।

অবাক করা বিষয় হলো, স্টিভেনসনের মাসিক-ও হয়েছে প্রতিমাসে, নিয়মিতভাবে। তাহলে এই শিশু জন্ম নিলো কিভাবে!

চিকিৎসকেরা জানান, এই অবস্থাটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় 'ইউটেরাস ডিডালফিস'। স্টিভেনসনের ছিল দুটো জরায়ু। সামনের জরায়ুটি থেকে প্রতিমাসে মাসিক হয়েছে। আর এর পেছনে লুকিয়ে থাকা দ্বিতীয় জরায়ুতে বেড়ে উঠেছে এই শিশু। ফলে, গর্ভাবস্থায় তার পেট-ও বড় হয়নি। 

শুধু মাঝে মাঝে সকালবেলায় স্টিভেনসনের একটু দুর্বল লাগতো। এছাড়া আর কিছুই টের পাননি তিনি। তাই, সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরেও বিষয়টি স্বয়ং গর্ভবতীই টের পাননি।

স্টিভেনসন জানান, নিজের মেয়েকে এখন তিনি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসেন। কোনো কিছু না জেনে-বুঝেই প্রথমবারের মতো মা হওয়া এই কিশোরী তার মেয়ের নাম রেখেছেন এলোডি। সূত্র: বিবিসি