বগুড়ায় ক্রিয়েটিভ হোম কেজি স্কুলের অমর একুশে উদযাপন

অসীম কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫১৭ বার।

বগুড়ায় ক্রিয়েটিভ হোম কেজি স্কুলের সামনে সকাল থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ জড় হয়েছে। সূর্যটা তখনো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছে। আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে একুশের অমর শোকসঙ্গীত -
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি .......................।' বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এস এম সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক নিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপশহর মাঠের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যায়। সেখানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। 

 

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহিদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক,জব্বার,শফিউ,সালাম,বরকত সহ অনেকেই। তাই এ দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
 

ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই র‍্যালিতে অংশ নেয় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ফজলুল হক মিলন। তিনি পুণ্ড্রকথাকে  জানান, ২০১৬ সাল থেকে উপশরের হাকির মোড়ে প্রাক- প্রাথমিক শাখা পর্যন্ত ক্রিয়েটিভ হোম কেজি স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা হয়। শিক্ষার্থীদের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে এবং সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছরই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দিবসগুলো উদযাপন করা হয়।   
 

এছাড়াও র‍্যালিতে অংশ নেয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এস এম সাহাবুদ্দিন, সহকারি শিক্ষক মানিক মিয়া, মহসিনা খানম, খাদিজা আক্তার, আতিয়া কানিজ, মেহের নিগার সুলতানা, আল আমিন সজীব, সামিনা পারভীন, আব্দুল কাবির কাজল, নজরুল ইসলামসহ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ। 
 

র‍্যালিটি প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে শেষ হয়।