একজন আদর্শ পিতার আত্মকথা

নিজে ৯ম শ্রেণী পাশ হয়েও ৬ সন্তানকে করেছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৪৪ বার।

২২ ফেব্রুয়ারী  রইচ উদ্দিনের প্রাং এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী।  ২০১৮ সালের এই দিনে সকলের কাছে আদর্শ ও অনুসরণীয় এই ব্যক্তি রইচ উদ্দিন প্রাং এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন।  রইচ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ এর তাড়াশ উপজেলার শোলাপাড়া গ্রামের মরহুম গহির উদ্দিন প্রাং এর ২য় ছেলে। ১৯৩৮ সালের ১২ এপ্রিল জন্ম নেয়া রইচ উদ্দিন জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও নিজে নবম শ্রেণী পাস হলেও তার ৬ ছেলে মেয়েকে বানিয়েছে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত যারা আজ সমাজে সকলে সুপ্রতিষ্ঠিত।  তাইতো তাকে একজন আদর্শ পিতা হিসেবেই জানে সকলে। রইচ উদ্দিনের তিন ছেলে বড় ছেলে ড: এম নজরুল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব ও ভূবিদ্যা অনুষদের ডিন ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, বড় ছেলের সহধর্মিণী ড: সাবিনা সুলতানা সুরভী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, মেজ ছেলে ডা: মো: রেজাউল করিম একজন স্বনামধন্য পল্লীচিকিৎসক ও ব্যবসায়ী এবং ছোট ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম সরকারি আজিজুল হক কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।  ছেলেদের পাশাপাশি তার তিন মেয়েকেও তিনি করেছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ।  তার বড় মেয়ে মনোয়ারা জেসমিন তার স্বামী মজিবুল হোসেন বাবলু একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মেজ মেয়ে জাহানারা শারমিন (বি.এ) যার স্বামী বর্তমানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন এবং সব ছোট মেয়ে আফরোজা নাসরিন (এম.এ- রা.বি) তাড়াশ মহিলা কলেজের একজন প্রভাষক এবং তার স্বামী ড. আতিকুর রহমান (রিপন) বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।  তাড়াশের গহির উদ্দিনের প্রাং এর বংশীয় পরিবারে জন্ম নিয়েও জীবন যুদ্ধে একটা সংগ্রামের নাম ও হাজারো মানুষের কাছে আদর্শ মরহুম রইচ উদ্দিন প্রাং।  ব্যবসা, কৃষিকাজ, টেইলারিং ও কাপড়ের ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রয়োজনের তাগিদে এবং সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি জীবন যুদ্ধে হার না মানা সৈনিক ছিলেন তিনি। জীবিত থাকাকালীন বেশ কয়েকবার ছিলেন মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ছিলেন সমাজের একজন হিতৈষী এবং দেশপ্রেমী।  একজন ভাল ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি রইচ উদ্দিন প্রাং একজন আদর্শ পিতা হিসেবে আজও সমাজের মানুষের সুনামের মাঝে জীবিত আছেন বলে মনে করেন তার আত্নীয়-পরিজনরা সকলে।  গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারী বড় ছেলের বাসায় সফল এই মানুষটির আকষ্মিক মৃত্যু হয়।  ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাইতো জীবন সংগ্রামে জয়ী এই মানুষটির জন্য দোয়া কামনা করেছেন তার পরিশ্রমের ফসল তার ৬ সন্তান ও পরিবারবর্গ।