সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

শেরপুরে বিএডিসির ছাড়পত্র জালিয়াতি করে নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ!

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭২ বার।

বগুড়ার শেরপুরে বিএডিসির ছাড়পত্র (লাইসেন্স) জালিয়াতি করে একটি অগভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ভায়রা গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতা গ্রামের রুবেল আহমেদ নিজ গ্রামে বিএডিসির ছাড়পত্র নিয়ে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেন। কিন্তু সেই ছাড়পত্র দিয়ে পাশের গ্রাম ও মৌজায় নলকূপ স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। এমনকি রাতের আঁধারে স্থানীয় টাউট-বাটপার ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রস্তাবিত আমাদের অগভীর নলকূপের মাত্র ১০০ফুট দূরে তার নলকূপ স্থানান্তর করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। পরবর্তীতে আমার অভিযোগের তদন্তকালে তার এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো ট্রান্সফরমারটি সরানো হয়নি।

আরাফাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জালিয়াত রুবেল আহমেদ অদৃশ্য খুঁটির জোরে আমার কমান্ডিং এড়িয়ার মধ্য মাত্র ২৭০ফুট দূরে বিএডিসির আরেকটি ছাড়পত্র নেয়। একইসঙ্গে ওই ছাড়পত্রের মাধ্যমে সেখানে নতুন অগভীর নলকূপ স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। যা বিধি সম্মত নয়, সম্পুর্ণ অবৈধ। তাই এই চক্রটির এই অবৈধ তৎপরতা ঠেকাতে আদালতের মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এরপরও তাদের তৎপরতা থেমে নেই। আমার সেচ পাম্পের মধ্যে অবৈধ নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদেরে সু-দৃষ্টি কামনা করেন এই কৃষক পরিবারের সন্তান আরাফাত হোসেন।