ঈদে বন্দিদের মোবাইলে ১৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ, রাতে খাবেন পোলাও

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২১ ০৭:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৫ বার।

করোনামুক্তির প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সাধারণ মানুষের মতো ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে কারাবন্দিরাও। ঈদ উপলক্ষে বন্দিদেরকে স্বজনদের সঙ্গে অতিরিক্ত তিন মিনিট কথা বলার সুযোগ দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সাধারণ সময়ে বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে ১০ মিনিট করে মোবাইলে কথা বলতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে আরো তিন মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মে) সকালে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইজি প্রিজন জানান, ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের তাদের স্বজনদের সঙ্গে অতিরিক্ত আরো তিন মিনিট করে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগে তারা দশ মিনিট করে কথা বলতে পারতেন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধের জন্য বন্দিদের সঙ্গে কারাগারে স্বজনদের দেখা করার সুযোগ বন্ধ আছে।

তিনি আরো জানান, ঈদের দিন সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিদের জন্য উন্নতমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে।

কারা সুত্র জানায়, ঈদের দিন ভোর ৭টায় মুড়ি আর পায়েস দিয়ে ঈদ উদযাপন শুরু করে ঢাকাসহ দেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিরা। প্রতিবার কারাগারের ভেতরের মসজিদে নামাজ আদায়ের পর তারা একসঙ্গে সকালের খাবার খেলেও এবার তারা নিজ নিজ সেলে নামাজ আদায় করেন। সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের খাবার। কারাবন্দিরা নিজ নিজ সেলের অন্যান্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

ঈদের দুপুরে বন্দিদের জন্য রয়েছে সাদাভাতের আয়োজন। এর সঙ্গে তারা পাবেন ডাল, রুই মাছ আর আলুর দম। আর রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও। পোলাওয়ের সঙ্গে থাকবে গরুর মাংস ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। এছাড়া যারা গরুর মাংস খাবেন না তাদের জন্য থাকবে খাসির মাংস।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কারাগারের রেওয়াজ অনুযায়ী বন্দিদের ঈদের খাবার দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারই দুই ঈদে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের এই আয়োজন করা হয়। আগে প্রতি ঈদে কারাবন্দিরা পরিবারের সদস্যদের আনা খাবার খেতে পারতেন। তবে এবার করোনার কারণে বন্দিদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় তারা খাবার আনতে পারছেন না। তবে তারা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবেন।