পাইলট আটক হওয়ায় মোদির সব পরিকল্পনা নস্যাৎ!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৩ বার।

বুধবার সকালেও বেশ ফুরফুরে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আক্রমণ করে দেশবাসীর কাছে হিরো সেজেছিলেন বিজেপির হয়ে জেতা এ প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যালটবক্সের ভোট প্রায় নিশ্চিত করছিলেন তিনি। কিন্তু এর রেশ শেষ না হতেই পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের পাশাপাশি উইং কমান্ডার আটকের খবরে ভেস্তে যায় সাজানো পরিকল্পনা।

ভোটের আগে, দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার- বিরোধীদের রোষানলের পাশাপাশি সহ্য করতে হচ্ছে পাকিস্তানের নানা ট্রল (ব্যঙ্গ)।

ভারতের সামরিক বাহিনীর পূর্ব নির্ধারিত যৌথ ব্রিফিং স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ওই ব্রিফিং করার কথা ছিল। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ ব্রিফিং স্থগিত করা হয়েছে। এটি সন্ধ্যা ৭টায় করা হবে।

এদিকে পাকিস্তানে আটক পাইলটকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশংসায় ভাসছেন। খোদ ভারতীয়রাও তার এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইমরান খানের এ ঘোষণার পর ভারতজুড়ে স্বস্তি নেমে এসেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেন।

টুইট বার্তায় অমরিন্দর সিং বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আমরা দাবি করছি যথাশীঘ্রই তাঁকে মুক্তি দেয়া হবে। আমি মনে করি এটি একটি ভালো উদ্যোগ এবং এটি বজায় থাকবে।’

এদিকে পাকিস্তানিরাও ইমরান খানের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক মাজহার আব্বাস বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত একটি শুভ বার্তা বয়ে আনবে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুয়িদ পীরজাদা বলেন, এটা স্পষ্ট- লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জম্মু-কাশ্মির নাটক সাজিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০০২ সালেও প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় এ কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু, উইং কমান্ডার ধরা পরায় পুরোপুরি ফেঁসে গেছেন।

এদিকে বিশ্লেষকদের অভিমত, পাকিস্তানের হাতে ঘুড়ির নাটাই থাকলেও; বেশ হিসাব-নিকাষ করে এগোচ্ছে ইমরান প্রশাসন।

নয়াদিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় কাক বলেন, পাকিস্তান সরকার নিরাপদ দূরত্বে থেকে পাশার দান দিচ্ছে। দৃশ্যতঃ পুরো খেলাটা এখন তাদের হাতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আদনান নাসিমুল্লাহ বলেন, ভারত-পাকিস্তান দীর্ঘদিন ছায়াযুদ্ধ করছে। যার মূলে রয়েছে- কাশ্মির উপত্যকা। আপাতত, দু’দেশের মাঝে হামলা-পাল্টা হামলা বন্ধ থাকলেও; যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি গড়াতে পারে ভিন্ন খাতে। খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে উভয়পক্ষকে। কারণ, সামান্য ত্রুটির কারণেও বেঁধে যেতে পারে আরেকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

এর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে আটক রয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব। নতুনভাবে, বুধবার আজাদ-কাশ্মিরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর আটক হলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। খবর যুগান্তর অনলাইন