ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় ‘হিরো’ ইমরান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০১৯ ১৫:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৫ বার।

কাশ্মীর নিয়ে চলমান উত্তেজনায় আটক ভারতের পাইলটকে ছেড়ে দেয়ার ঘোষণায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন। দুদেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইমরান খানের এমন পদক্ষেপকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দুদেশের সেলিব্রেটি ও বিশিষ্টজনরা।

ভারতের বিমানবাহিনীর পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ছেড়ে দিতে ইমরান খানের ঘোষণাকে রাষ্ট্রনায়কোচিত বলা হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ইমরান খানের বৃহস্পতিবারের পার্লামেন্টে ভাষণের পর সন্ধ্যায় তাকে টেলিফোন করেন এরদোগান। পাক-ভারত উত্তেজনা কমাতে ও শান্তির পক্ষে কাজ করতে ইমরান খান ভারতকে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন এরদোগান।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি লেখক ফাতিমা ভুট্টো টুইটারে ইমরানের প্রশংসা করে লিখেছেন- ইমরানের এ পদক্ষেপ সাহসী ও মানবিক।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, সামরিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, নৈতিকতা ও রাষ্ট্রপরিচালনা—সব দিক দিয়েই পাকিস্তান জয়ী হলো। এর মূল ক্রেডিট ইমরান খান পাওয়ার যোগ্য।

শুধু এরদোগান কিংবা পাকিস্তানের বিশিষ্টজন নন, ভারতের কয়েকজন রাজনীতিবিদ- এমনকি তারকা ক্রিকেটাররাও ইরমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ নভোজিৎ সিং সিধু টুইটারে ইমরানের প্রশংসা করেছেন। তিনি ইমরানের পদক্ষেপকে ‌মহানুভবতা বলে অভিহিত করেছেন। ইমরানের বন্ধুত্বের মনোভাব ভারতের কোটি কোটি মানুষের জন্য আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে এএনআই জানায়, ইমরানের সিদ্ধান্তে তিনি খুবই খুশি। এটি বন্ধুত্বের পথের একটি ধাপ।

ইমরান খানের প্রশংসা করেছেন, ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। টুইটারে তিনি লিখেছেন- ইমরান খান সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাব দেখিয়েছেন।

ভারতীয় ঔপন্যাসিক কৃষ্ণ প্রতাপ সিং লিখেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হন। এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।

এ হামলার জেরে গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হন বলে দাবি করেছে দেশটি।

এখানেই থেমে নেই, গত বুধবার পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন পাকিস্তান সেনারা। জবাবে ভারত পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করে।

ঘটনাপ্রবাহে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে বন্দি হন দেশটির এক পাইলট। আর পাকিস্তান হারায় একটি যুদ্ধবিমান।