কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে: মুফতি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০১৯ ১৪:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৭ বার।

কাশ্মীরে গণপিটুনিতে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ দরিদ্রদের যারা সাহায্য করছে তেমন একটি সামাজিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এর ফলাফল ভয়ঙ্কর হবে বলছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) হেডকোয়ার্টার থেকে সাংবাদিকদের মেহবুবা জানান, জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। মেহবুবা বলেন, গ্রেফতার করে একটা মতাদর্শকে চেপে রাখা যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

পিডিপির এই নেতা বলেন, বিশেষ একপ্রকার মাংস খাওয়ার জন্য শিবসেনা, জনসংঘ, আরএসএস মানুষকে মারছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কাশ্মীরে যে সংগঠন গরিবদের সাহায্য করছে, স্কুল চালাতে সাহায্য করছে তাদের ধরে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আমরা এই বিষয়কে কখনোই অনুমতি দেব না। এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ভারতের ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান নিহত হয়। এই হামলার পর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আর এই হামলার রেশ ধরেই জম্মু এবং কাশ্মীরের ইসলামি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।

গত দুই সপ্তাহে রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের অনেক নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।