বগুড়া জেলা পুলিশের কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

অরূপ রতন শীল
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯ ১৪:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৯ বার।

বগুড়া জেলা পুলিশের কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।  তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজের মিলয়নায়তনে  ১২৪ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে বই, পুরস্কারের টাকা এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন।

‘এসো বই পড়ি, ল্যাপটপ জিতি’ স্লোগানে কুইজ  প্রতিযোগিতায় মোট প্রতিযোগী ছিল ৫ হাজার ৭৪৮ জন।  ১০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯ নম্বর পেয়েছেন ১২৪ জন প্রতিযোগী। আর এই ১২৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে  লটারির মাধ্যমে ১ম থেকে ১০ম পর্যন্ত এবং থানা ভিত্তিক ১১তম থেকে ২০তম বিজয়ীদের বিশেষভাবে  পুরস্কৃত হয়। তবে  অনুষ্ঠানে ১২৪ জন প্রতিযোগীকেই অর্থসহ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

মূলত ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভিন্নধর্মী ওই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বগুড়া জেলা পুলিশ। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী  একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই পড়েই উত্তর করতে হয়েছে সব প্রশ্নের ।

পুরস্কার বিতরণের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘এখন সবাই ইন্টারনেটে  ফেসবুক, মেসেঞ্জার নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বগুড়ার শিক্ষার্থীরা এর ভুল প্রমাণ করেছেন।  তারা যে বই পড়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। '

তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মেধা। যা কখনো ভাগ করা যায় না এবং নিজের সাথে কখনো প্রতারণাও করে না। তাই নিজের মেধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। যা কিছু করার এখুনি করতে হবে। জীবনে খুব কম সময় পাওয়া যায়। তাই  তোমরা প্রতিদিন নতুন নতুন বই পড়বে।তবেই জীবনের লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে।' 

অনুষ্ঠানে বগুড়া পুলিশের সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে  মোকবুল হোসেন, সাফিজুল ইসলাম এবং আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে সনাতন চক্রবর্তী, আনোয়ার হোসেন, মসিউর রহমান,আলমগীর হোসেন এবং তাপস কুমার পাল,  বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু ও  বিভিন্ন থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।