বগুড়ার ১০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭টিতে আ’লীগ এবং দু’টিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৫৫ বার।

বগুড়ায় ১০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭জন এবং আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও চেয়ার‌্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে জেলার আদমদীঘি ও শেরপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী যথাক্রমে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও মজিবর রহমান মজনু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।১৮ মার্চ জেলার ১২টি উপজেলায় ৯৫৪টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা  থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিচে সংসদীয় আসনওয়ারী উপজেলার নাম এবং বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো।

সরিয়কান্দিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুনজিল আলী সরকার ২১ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) টিপু সুলতান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৬৭ ভোট।সোনাতলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন ৪৮ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) জিয়াউল হক লিপন পেয়েছেন ৫ হাজার ১২১ ভোট।
শিবগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ৬১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আজিজুল হক পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪২৬ ভোট।
দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক ২৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মিজানুর রহমান খান সেলিম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৭১ ভোট।
কাহালুতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আল হাসিবুল হাসান সুরুজ ৩১ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৮৯ ভোট।
নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৫৭ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) মোহাম্মদ আলেকজান্ডার পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৮০ ভোট।
ধুনটে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল হাই খোকন ৩১ হাজার ৯১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) আলীমুদ্দিন হারুণ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬১৪ ভোট।
বগুড়া সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু সুফিয়ান সফিক ৩৭ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) মাফতুন আহমেদ খান রুবেল পেয়েছেন ১২ হাজার ২১৬ ভোট।
গাবতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী রফি নেওয়াজ খান রবিন ১ লাখ ৩৮ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) একিউএম ডিসেন্ট সুমনের আনারস প্রতীকে পড়েছে ৩ হাজার ১০৫ ভোট।
শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত সোহরাব হোসেন ছান্নু ৩৩ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিস্কৃত) আবুল বাশার পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৮৩ ভোট।