শেরপুরে ট্রাক থামিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলসহ ২জন গ্রেফতার

শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১৩:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪১ বার।

বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকের গতিরোধ করে চালকের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে শুক্রবার রাতে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেনঃ শেরপুর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের শাহজামাল সেখের ছেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আরিফুল ইসলাম (২৭) ও তার সহযোগী একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আবু সাঈদ (২৫)। 
পুলিশ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক চালকের মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে গ্রেফতার দু’জন ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম (ক-নং-৩৪৬২১) দশদিনের ছুটিতে সম্প্রতি বাড়িতে আসেন। গত ১৯ মার্চ বিকেলে মুরগী বিক্রি করে ভাবানীপুর আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ফেরার পথে আরিফুল ও তার সহযোগী আবু সাঈদ মোটর সাইকে নিয়ে একটি ট্রাকের গতিরোধ করে। তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ট্রাক চালক সজীবের কাছে গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান। 
চালক সজীব সেগুলো দেখালে আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী আবু সাঈদ ট্রাক চালকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় তারা দু’জন ট্রাক চালক সজীবসহ ভেতরে থাকা হেলপার রবিন আহম্মেদ ও মুরগির খামারের ম্যানেজার শিপনকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে শরীর তল্লাশীর নাম করে তাদের কাছ থেকে মুরগী বিক্রির ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে শেরপুরের দিকে চলে যায়। তবে যাবার সময় তারা ট্রাক নিয়ে শেরপুর থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে ভুক্তভোগীরা থানায় গেলেও ওই দু’জনের কোন সন্ধান পাননি। তখন ট্রাক চালক সজীব বাদী হয়ে  ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা করেন।
সাব ইন্সপেক্টও ইকবাল হোসন জানান, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল ইসলামের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন। এরপর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আরিফুল ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং জড়িত অন্যদের নাম-পরিচয়ও বলে দেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবু সাঈদকেও গ্রেফতার করা হয়।’