শহরের খান মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

বগুড়ায় নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে ২ ব্যক্তির জেল-জরিমানা

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৭ বার।

বগুড়ায় নকল ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট, এবং ওষুধ জাতীয় পণ্যে বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদন নম্বর ও বিদেশী মোড়ক লাগিয়ে বিক্রির দায়ে দুই দোকান কর্মচারীর ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার বিকেলে শহরের খান মার্কেটে ‘রেমেক্স ল্যাব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডিতরা হলো- ওই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারী শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মোমিন। 
বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং ড্রাগ সুপারিনটেনডেন্টের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তবে বেলা ৩টার পর অভিযান শুরু হওয়ার পর পরই খান মার্কেটের অধিকাংশ ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দু’জনকে পরে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার ড্রাগ সুপারিনটেনডেন্ট আহসান হাবিব জানান, খান মার্কেটের চতুর্থ তলায় রেমেক্স ল্যাবের গুদাম রয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ওষুধ, মেডিকেডেট শ্যাম্পু, সাবান এবং ফুড সাপ্লিমেন্ট পাওয়া গেছে। যেগুলো বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে তাতে বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদন নম্বর লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। 
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম এবং আব্দুল মোমিন নামে দুই কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তাদেরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া সেখান থেকে বিএসটিাইয়ের ভুয়া অনুমোদনপত্র, স্থানীয়ভাবে মুদ্রণ করা ভুয়া বিদেশী ওষুধের মোড়কগুলোও জব্দ করা হয়।