শোক দিবসে আ. হ. কলেজের স্মরণ সভাঃ বঙ্গবন্ধু ছিলেন হিমালয়সম

মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদঃ
প্রকাশ: ১৫ অগাস্ট ২০১৮ ১২:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪১ বার।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে শোক র‌্যালী, বঙ্গবন্ধু স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। সকালে কলেজের নতুন ভবনে সকল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা শোক র‌্যালী বের করে। র‌্যালটি ক্যাম্পাস থেকে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা ঘুরে আবারও ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
র‌্যালী শেষে কলেজের মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন  এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। শেষে শোক দিবস উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয় এবং বাদ যোহর কলেজের উভয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী। সভাপতিত্ব করেন করেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির জন্য কলঙ্কের দিন। বঙ্গবন্ধুর মত নেতা ভবিষ্যতে আর পাওয়া যাবে কি’না তা নিয়ে আমরা সন্দীহান।’ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা অত্যন্ত কার্যকর এবং যুপযোগী। এর মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণ সমাজ মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছে।’ উপাধ্যক্ষ ফজলুল হক শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি স্ত্রী ও  সন্তানের মায়া ত্যাগ করে দেশের জন্য লড়েছেন। রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আমিনুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি’ উল্লখ করে বলেন, ‘প্রকৃত পক্ষেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন হিমালয়সম।’ অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম, গনিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহাতাব হোসেন এবং প্রভাষক সাধন কুমার দেবনাথ।