বগুড়ায় বাংলার মুখের বৈশাখী মেলা

এসএমসির স্টলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪১৮ বার।

বৈশাখী মেলার ৬ষ্ঠ দিনেও ক্রেতাদের মন কেড়েছে সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানী'র (এমএসসি) ষ্টল। বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ওই স্টলে থাকা বিভিন্ন অফারের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে প্রতিষ্ঠানের ২০ জন কর্মকর্তাবৃন্দকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিলো। পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে টেষ্ট মি অরেঞ্জ, লিচি জুস এবং বোল্ট গ্লুকোজ (২ প্যাকেটের সাথে ১ প্যাকেট ফ্রি), জয়া সেনেটারী ন্যাপকিন, এসএমসি স্যালাইন এবং মনি মিক্স (কোম্পানী রেট)। এছাড়াও বিকাল ৫টার পর থেকে এসএমসি’র উদ্যোগে শিশুদের বিনোদনের জন্য ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে আসার ব্যবস্থাও ছিলো।   

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ৭ দিন ব্যাপী ওই বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে 'বাংলার মুখ'। নাগরদোলা, সার্কাস, যাদুখেলা, হোন্ডাখেলা, লাঠিখেলা মেলাকে  বেশ জাকজমকপূর্ণ করে তুলেছে। শহরের মানুষের কাছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঙল, জোয়াল, মাছ ধরার পলই, রেডিও, চাল ঝারার কুলা, হারিকেন, চাল রাখার মাটির ডাবর, মাটির হাড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনও ছিলো মেলার অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও মেলায় কসমেটিক্স, পোশাক, অলঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক্স,  জুস, চটপটি, আইস্ক্রিমসহ প্রায় অর্ধশত দোকান রয়েছে।  

কথা হয় এসএমসি’র উত্তরবঙ্গের প্রধান কাজী জাফরুল্লাহ'র সাথে। তিনি পুণ্ড্রকথা'কে জানান, এসএমসি সরকার নিয়ন্ত্রনাধীন স্বায়ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠান যার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য ওরস্যালাইন বাজারে আসে ১৯৮৪ সালে। প্রথম অবস্থায় সুইজারল্যান্ড থেকে আনা হলেও ওরস্যালাইন এখন দেশেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বাড়ীর দরজা খুললেই সম্মুখের দোকানটিতেই যেন এসএমসি’র স্যালাইন পাওয়া যায় সে লক্ষ্যেই কোম্পানী কাজ করে যাচ্ছে।

মেলায় ঘুরতে আসা পুরান বগুড়া সুমী বলেন, এসএমসির জুস খেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এই কোম্পানির পণ্যগুলোও মানসম্মত। 

প্রিক্যাডেট স্কুলের ৮ম শ্রেনীর জিসান জুস খেতে খেতে বলে, খুব মজা লাগছে।