প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত

বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৩ বার।

বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীকে পাঁছ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার স্পেশাল জজ এমরান হোসেন চৌধুরী বুধবার এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেনঃ ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া শাখার সাবেক ম্যানেজার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) সারওয়র আলম, ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের ইনচার্জ (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) এরশাদ আলী ও মেসার্স রেজা এন্ড কোম্পানিরর স্বত্বাধিকারী রেজানুর রহমান রেজা। 
বিচারক তার রায়ে দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও  ৩ মাসের কারাভোগের নির্দেশ দেন। দণ্ডিতদের মধ্যে সারওয়ার আলম ছাড়া অন্য দু’জন পলাতক। রায়ে দণ্ডিতদের  আত্মসাত করা ২ কোটি ৯৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৮১ টাকা রাষ্ট্রের অনূকুলে বাজেয়াপ্ত করতে বলেছেনআদালত। বিচারক তার রায়ে বলেছেন, যদি আত্মসাত করা ওই অর্থ দন্ডিতরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট খাতে জমা না দেন তাহলে তাদের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হতে বিধি মোতাবেক আদায় করা যাবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শহরের শিবববাটির মৃত জিল্লার রহমানের ছেলে রাজাবাজার এলাকার রেজা এন্ড কোং এর স্বত্বাধিকারী রেজানুর রহমান রেজা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক ছিলেন। তিনি ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজসে ১৯৯৫ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে ১২টি এলসি  (লেটার অব ক্রেডিট) খুলে মার্জিন ছাড়াই ২ কোটি ৯৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৮১আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বগুড়া সদর থানায় ওই তিনজনের নামে মামলা করেন। প্রায় ৯ বছর ধরে তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৫ মে চার্জশীট দাখিল করা হয়।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টও নিশিত কুমার ঘোষ জানান, রায় ঘোষণার দিন আসামীদের মধ্যে শুধু সারওয়ার আলম আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দণ্ডিত অপর দু’জন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাদের দণ্ড কার্যকর হবে।’