রমজান উপলক্ষ্যে বগুড়ায় হতদরিদ্রের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

আকতারুজ্জামান সোহাগ ও অসীম কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৮ বার।

বেসরকারী সংস্থা ইচ্ছা ফাউন্ডেশন জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়ায় দুঃস্থ এবং অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। শনিবার সকাল ১১ টায় পুলিশ লাইন্সে জেলার ১২ টি উপজেলা থেকে আসা ৮০০ জন হতদরিদ্রের মাঝে চাল, ডাল, আটা, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা।  
 

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, ইচ্ছা ফাউন্ডেশনের ইচ্ছায় এবং বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে রমজান উপলক্ষ্য গরীব-দুঃস্থদের হাতে গত বছরের চেয়ে এইবার দ্বিগুন খাবার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার ১২ টি উপজেলা থেকে বাসে করে এসব দ্বীন-দুখী মানুষদের আনা হয়েছে। খাবার সামগ্রীসহ তাদেরকে আবার বাসের মাধ্যমে নিজ নিজ উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এর আগে প্রত্যেক উপজেলার থানা পুলিশের মাধ্যমে যারা এসব সামগ্রী পাওয়ার যোগ্য তাদের ৮০০ জনের একটি লিস্ট করা হয়। লিস্ট অনুযায়ী প্রত্যেককে একটি করে কার্ড দেওয়া হয়। সেই কার্ড দেখে এসব সামগ্রী তাদের মাঝে তুলে দেওয়া হবে। 
 

ইচ্ছা ফাউন্ডেশনর তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস ইসমাইল রেহমানি বলেন, 'প্রায় ৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এভাবেই গরীব দুঃখীদের পাশে থেকে কাজ করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।' 
 

খাবার সামগ্রী পাওয়া শিবগঞ্জের আমিনা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা পুণ্ড্রকথাকে  জানান, তার ৩ ছেলে ও এক বিধবা মেয়ে আছে। কিন্তু ছেলেরা আলাদা থাকে। তাই তিনি মেয়েকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতেই থাকেন। খুব কষ্টে দিন কাটে তাদের। কিন্তু এতোগুলো খাবার সামগ্রী পেয়ে তিনি খুব খুশী। ‘এর আগে কখনো এগুলা পাই নি। এবারই পয়লা।' বলে জানান তিনি। 
 

শেরপুরের ষাঠোর্ধ সোনাউল্লাহ পুণ্ড্রকথাকে  জানান, গত বারের চেয়ে এবার তার রমজান ভালো কাটবে। এজন্য তিনি খুব খুশী। 
 

ধুনটের মর্জিনা পুণ্ড্রকথাকে  জানান, তার স্বামী পঙ্গু। কোনো কাজ করতে পারে না । তাই খুব কষ্টে দিন পার করতে হয় তাদের। এতোগুলো খাবার সামগ্রী পেয়ে খুব খশী তিনি। 

গরীব-দুখীদের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, ইচ্ছা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ইলিয়াস ইসমাইল রেহমানি, আল ইমদাদ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মাজহারুল আলম এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।