ধুনটে যমুনা নদীর নৌ-ঘাট সড়কের বেহাল দশা

ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ৩১ অগাস্ট ২০১৮ ১১:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬৪ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে সহড়াবাড়ী নৌ-ঘাট পর্যন্ত সড়কের খানা-খন্দের কারনে দেড় কিলোমিটার এলাকার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কে পথচারীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের সহড়াবাড়ী নৌ-ঘাট থেকে ১০টি রুটে নৌকা চলাচল করে। প্রতিদিন বৈশাখী চর, রাধানগর চর, বোয়াইল চর, মাঝিড়া চর, কেষ্টার চর, ছোনপচা, নাটুয়ারপাড়া চর, ধারাবর্ষা চর, শংকরপুর ও যমুনা নদীর পূর্বতীরে জামালপুরের যমুনা ফার্টিলাইজার সার কারখানায় যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করে। বগুড়া জেলা পরিষদ নৌ-ঘাট ইজারা প্রদান করেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই ঘাট থেকে নৌকায় যাওয়া আসা করেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য নেওয়া হয় এই ঘাট দিয়ে। তাছাড়া ধুনট সদর ও পার্শ্ববর্তি এলাকার মানুষ যমুনা নদীর তীরে বেরাতে আসেন এই ঘাটে। যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ নতুন বাঁধ থেকে ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক। প্রতিবছর বন্যায় পাকা সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমানে ওই সড়কে খানা-খন্দক ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, যমুনা চর থেকে মরিচ কিনে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু সড়কটির বেহাল অবস্থার জন্য ঘাট পর্যন্ত কোন পরিবহন চলাচল করে না। এখন দেড় কিলোমিটার সড়কে মরিচের বস্তা কয়েক দফায় মাথায় নিয়ে চলতে হয়েছে তাকে।

সহরাবাড়ী নৌ-ঘাটের ইজারাদার হযরত আলী সরকার বলেন, শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার ফলে সহরাবাড়ী ঘাট দিয়ে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন কমেছে। একারনে বিগত বছর ঘাটে লোকসান গুনতে হয়েছে। চলতি বছর ইজারার সময় জেলা পরিষদকে সড়কটি মেরামতের জন্য অনুরোধ করেছি। কয়েকদফা লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। হযরত আলী বলেন, সড়কটিতে চলাচল করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য সহরাবাড়ী ঘাটের ইজারাদার আবেদন করেছেন। সড়ক মেরামতের বিষয়টি পক্রিয়াধীন রয়েছে।