বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার সোনাতলা অপহৃত কিশোরী প্রতিমার দ্রুত উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার দাবি

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৯ ০৮:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৪০ বার।

বগুড়ার সোনাতলায় অপহৃত প্রতিমা রবিদাসের সন্ধান এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত অধিকার আন্দোলন বগুড়া শাখার নেতাকর্মীরা। সোমবার বেলা ১১ টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানেরও বিষয়ও তারা উল্লেখ করেন। 


এই ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল প্রতিমার বাবা মতিলাল হরিদাস নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে  ৮জন কে আসামী করে সোনাতলা থানায় মামলা করেন। এজাহার অনুযায়ী প্রধান আসামী হিসেবে  সোনাতলা উপজেলার হাটকরমজার বেলাল  হোসেনের ছেলে লিজু মিয়ার(১৭) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে একই স্থানের নদে প্রাং এর ছেলে শাকিল রানা(১৯), ছকু প্রাং এর ছেলে নায়েছ আলী(১৯), মুকুল প্রাং এর ছেলে বিশাল(১৮), মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন(৪৫), বেলাল হোসেনের স্ত্রী লিলি বেগম(৪০), মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া(২৫) এবং আশরাফ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম(৪২)। মামলা করার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে তারা অভিযোগ করেন।  


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ অভিযোগ করে বলেন,  গত ২২ এপ্রিল সোনাতলা উপজেলার হাট করমজা বাজারে সোমবার রাত প্রায় ৯.৩০ মিনিটে গ্রামের লিজু মিয়া (১৭) ও তার ৫ জন সহযোগী মিলে প্রতিমাকে তার নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রতিমা উপজেলার শ্রী মতিলাল রবিদাসের মেয়ে। বর্তমান শাখাহাতী ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। 


জানা যায়, একই এলাকার মোঃ বেলাল হোসেনের ছেলে মোঃ লিজু মিয়া প্রায়শই প্রতিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলেও প্রতিমা তা প্রত্যাখান করে এবং বিষয়টি তার বাবা রবিদাসকে জানায়। রবিদাস প্রতিবেশী বেলাল হোসেনকে এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে বেলাল তার ছেলে লিজুকে শাসন করে। এতে লিজু ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তী সময়ে তার বন্ধু-বান্ধবসহ কিশোরী প্রতিমাকে তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ কওে পালিয়ে যায়। 


তিনি আরও বলেন, গত ২২ এপ্রিল রাত আনুমানিক নয়টায় রবিদাশ কর্ম শেষে বাড়ি ফিরলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। এতে তার স্ত্রী শ্যামলী দাস তাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকট  আসে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তাদের ছোট মেয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পরে আছে। মুখের বাঁধন খুলে দেয়ার পর মেয়েটি তার স্বচক্ষে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা রবিদাস ও তার স্ত্রীকে জানায়। প্রতিমার বোন উল্লেখ্য করে, লিজু মিয়া ও তার ৫ জন বন্ধুর সহায়তায় দিদিকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের পূর্বে লিজু ও তার এক সহযোগী তার মুখ বেঁধে রাখে।


 বিষয়টি শোনামাত্রই রবিদাস ও শ্যামলী দাস লিজুর বাবা মায়ের কাছে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ফেরত পাঠায়।
ঘটনার বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়েকে ফেরত না পেয়ে রবিদাস গত ২৬ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 
অপহরণের এই ঘটনায় পুলিশ অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কিশোরীকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে লিজু ও তার সহযোগীরা। 


সবশেষে শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ দ্রুত  অপহৃত কিশোরী প্রতিমাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পুলিশের প্রতি  আহবান জানান।