রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু ১৫ মে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯ ১৩:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৯ বার।

রাজশাহীতে এবারও আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার দুপুরে আম চাষি, ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে সভা করে আম নামানোর ক্ষেত্রে তারিখ নির্ধারণের এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ মে গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া শুরু হবে। ১৫ মে থেকে গুটি আম নামাতে পারবেন চাষিরা। এই আমটি আগাম পাকতে শুরু করে। আর উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, রাণীপছন্দ ২৫ মে, খিরসাপাত বা হিমসাগর ২৮ মে এবং লক্ষণভোগ বা লকনা নামানো যাবে ২৬ মে থেকে। 

এছাড়া ল্যাংড়া আম ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৬ জুন থেকে নামানো যাবে। আর সবার শেষে ১৭ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা জাতের আম।

অপরিপক্ব আমের বাজারজাত ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই রাজশাহীতে আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে। এবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা ডাকা হয়। জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। 

সভায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের বক্তব্যে তারিখ নির্ধারণের পক্ষে-বিপক্ষে মত দেন। ফলে কোনো সিদ্ধান্তই হচ্ছিল না। দুপুরে নামাজের বিরতির পর আবার সভা শুরু হয়। সেখানেও আম চাষি, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা তারিখ নির্ধারণ না করার দাবি জানান। তবে অপরিপক্ব আম যেন কোনোভাবেই বাজারে না আসে তার জন্য তারিখ নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা (ইউএনও)। শেষ পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত দেন জেলা প্রশাসক। 

তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় তাহলে চাষি তা নামাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বিষয়টি লিখিতভাবে ইউএনও’কে জানাতে হবে। তারপর ইউএনও সরেজমিনে বাগান পরিদর্শন করবেন। বাগানে তিনি প্রাকৃতিকভাবে আম পাকা দেখলে তা নামানোর অনুমতি দেবেন। এরপরই আম নামিয়ে বাজারে পাঠাতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের জানান, গত বছর আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। তারা নিশ্চিত ছিলেন যে, কোনো রাসায়নিক মিশিয়ে রাজশাহীর আম পাকানো হয়নি, এটা প্রাকৃতিকভাবেই পেকেছে। ফলে রাজশাহীর আমের সুনাম অক্ষুন্ন ছিল, এবারও থাকবে।

তিনি বলেন, আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা না হলে বাগানে প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করা হতো। কেউ যেন আগেভাগে অপরিপক্ব আম নামাতে না পারেন সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হতো। কিন্তু এতো জনবলও প্রশাসনের নেই। সব দিক বিবেচনায় আম নামানোর ক্ষেত্রে তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হলো। তবে আগে পাকলে আম নামানোরও সুযোগ থাকল।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল আলীম, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুসহ আরও অনেকে।