প্রবাসী বাঙালিদের ইফতার আয়োজন ও মিলনমেলা কানাডার বুকেও

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক।
প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯ ১০:৩৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩১ বার।

বরফাচ্ছন্ন কানাডার সবগুলো শহর প্রায় ৮ মাসই বরফে আচ্ছাদিত থাকে। এ বছর রমজান মাসের শুরুতেও এর ব্যতীক্রম ঘটেনি। তবে প্রচণ্ড বৈরি আবহাওয়াতেও ম্লান করতে পারেনি প্রবাসী বাঙালিদের ইফতার আয়োজন আর মিলনমেলার আন্দকে। সুত্র : সমকাল।

প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় এলেও রমজান মাসে রোজাদাররা ভুলে যায়নি তাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে।

সারাদিন কাজের শেষে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ইফতারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের মত এখানেও বাঙালিরা ছোলা মুড়ি মেখে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনির অপেক্ষায় থাকে। ইফতারের এ আয়োজনে আরও থাকে পেয়াজি, কলা, আলুর চপ, জিলাপি, খেজুর, চিকেন হালিম আর শরবত। বিশেষ খাবার হিসেবে কমলা, আঙুর, আপেল সহ নানা দেশের বৈচিত্রময় ফল থাকে। কানাডায় বাংলাদেশি হোটেলগুলোতেও বেচাকেনা চলছে জমজমাট ইফতারি সহ খিচুরি আর বিরিয়ানি।

কানাডার ক্যালগেরিতে বাঙালিদের বিএমআইসিসি নামের নিজস্ব একটি মসজিদও রয়েছে। প্রতি বছরের মতো প্রবাসী বাঙালিদের মসজিদটিতে এবারও আয়োজন করা হয় ইফতারের। অসংখ্য নারী পুরুষ এই ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। আদায় করেন তারাবি নামাজ। প্রবাস জীবনে যান্ত্রিকতাময় দিনগুলোতে ইফতার আর তারাবি নামাজ শেষে এই সময়টাতে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয় একে অপরের সাথে। পরিণত হয় মিলনমেলায়। এশিয়ান এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে সবাই মিলে যখন ইফতার করছে তখন যেন মনে হয় একখণ্ড বাংলাদেশ।

বেঙ্গল ফার্মেসী ও কমিউনিটি জী বাংলাদেশি ফার্মেসী গ্রুপের স্বত্তাধিকারী ড. ইব্রাহিম খান বলেন,পবিত্র রমজান মাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস, এই মাসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন নাযিল হয়, সংযম আর আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়ে আমরা মাসটি পালন করি। এই মাসটিতে আমরা প্রবাসী বাঙ্গালিরা সবাই মিলে ইফতার করার চেষ্টা করি। যদিও যান্ত্রিকতাময় এই প্রবাস জীবনে কখনো সম্ভব হয়, কখনো হয় না। পবিত্র মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে কবুল করুন।

ক্যালগেরির ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. জাকির হোসেন বলেন, রমজান মাস এমন একটা মাস, যে মাসে গুনাহ মাফ হয়। আর ইফতারির আগে দোয়া কবুল হয়। যদিও আমরা দেশে নেই, তবুও প্রবাসী বাঙ্গালিরা সবাই মিলে আমরা ইফতার এর এই সময়টা খুব উপভোগ করি, মিস করি বাংলাদেশ কে।

সিয়াম সাধনার এই মাসে সংযম আর আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে যাবতীয় ভোগ বিলাস, অন্যায়, অপরাধ, হিংসা, বিদ্বেষ,  সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে বয়ে নিয়ে আসবে শান্তির বার্তা- ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের এমনটাই প্রত্যাশা।