দল নয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন মমতা

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯ ১১:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৪ বার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েও পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার তৃণমূলের পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানিয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সুত্র : সমকাল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম। শুধু দলের প্রধান হিসেবে কাজ চালাব বলেছিলাম, কিন্তু দল মানল না।

তিনি বলেন, দলকে বলেছি; ছয় মাস ধরে আমি কাজ করতে পারছি না। ক্ষমতাহীন এক মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম আমি। এটা গ্রহণ করতে পারিনা। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চাই না। এই চেয়ার আমার জন্য না। দলই আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। 

বিজেপির কাছে তৃণমূলকে কেন এত বেশি আসন খোয়াতে হল, কোথায় কী ত্রুটি হয়েছিল এবং এই ক্ষয় মেরামত হবে কী ভাবে, এসব নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লান্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ভোটের ফল প্রকাশ হয়। এতে বড় ব্যবধানে জয় পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বিজেপি তাদের সঙ্গে আসনের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছে এবার। 

নির্বাচনে জয়ী হয়ে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার প্রস্তুতির মধ্যেই শনিবার নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সামনে হাজির হলেন মমতা।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনই এই নির্বাচনের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। ‘ওপেন গেম’ খেলেছে ওরা। গণতন্ত্র টাকার কাছে বিকিয়ে গেলে সেই গণতন্ত্র বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এ রকম আগে কখনও হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। সংবাদ মাধ্যম, নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতদুষ্ট। ধর্ম নিয়ে প্রচার করা হয়েছে এই নির্বাচনে। আমরা অনেক অভিযোগ জানিয়েছি, কিছু হয়নি।

বিজেপির দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যা টাকা খরচ করেছে, তা জানলে কেলেঙ্কারি হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি। রাজ্যে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না।

নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, আমি এটা মেনে নিতে পারি না। রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানার মতো জায়গায় কিভাবে বিজেপি এত ভোট পায়। জনগণ এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ভয় পেলেও আমি পাই না।