ঈদের দিনও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০১৯ ১৩:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৫ বার।

ঈদের দিনও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা। বুধবার ঈদের দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন তারা।

গত ২৬ মে থেকে টানা অবস্থান নিচ্ছেন ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে সকালে ঈদের নামাজ পড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অবস্থান কর্মসূচিতে আছেন- ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এস এম মামুন, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক নকিবুল ইসলাম সুমন, সাবেক উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু, সাবেক স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ, কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান প্রমুখ।

সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।

তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এমন অনেককে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনেক ত্যাগী নেতাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।

এ নিয়ে বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন কমিটিতে পদ পাওয়া নেতারা। এরপরও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন বিক্ষুব্ধরা। পরে গত ২৯ মে বিতর্কিত কয়েকজনকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে আবারও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা। তাদের দাবি, আগে বিতর্কিত সবাইকে না সরালে কর্মসূচি থেকে সরা হবে না।

বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধদের অন্যতম মুখপাত্র রাকিব হোসেন বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ঈদের আগেই কমিটির পুনর্গঠন হোক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা এই সমস্যার সমাধান ঈদের আগে না করায় আজকে ঈদের দিনেও আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সবাই তো চায় পরিবারের সাথে ঈদ করতে, আমরাও চেয়েছিলাম। পরিবার ছাড়া এখানে ঈদ করছি বলে আমাদের খুব খারাপ লাগছে। তারা বিতর্কিতদের ঈদ করার সুযোগ দিল। কিন্তু আর আমাদের ঈদ করার সুযোগ দিল না। আমাদের চাওয়া এখন শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনাই পূরণ করতে পারে। আমরা চাইব, কমিটি থেকে বিতর্কিতদের দ্রুত বাদ দিয়ে ত্যাগীদের সুযোগ করে দেওয়া হোক। 

প্রধানমন্ত্রী ৮ জুন দেশে আসার পর আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলেও তিনি জানান।