উত্তরবঙ্গের দীর্ঘতম কাঠের সেতু

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০১৯ ১৫:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক আশুরার বিলের ওপর তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের দীর্ঘতম আঁকাবাঁকা আকৃতির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাঠের সেতু। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০০ মিটার। এটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণপিপাসুরা। ঈদ আনন্দে পরিবার নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এই স্থাপনা। খবর বাংলা ট্রিবিউন।

কাঠের সেতুটি যেন বন ও বিলকে এক সুতোয় গেঁথেছে। তাই এই জায়গার প্রতি ভ্রমণপ্রেমীদের আগ্রহ বেড়েছে। ঈদের দিন থেকেই শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান ও আশুরার বিলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে নেমেছে হাজারও মানুষের ঢল। বনে ছায়াঘেরা সবুজ মনোরম পরিবেশে ও বিলের পানিতে নৌকায় চড়ে বেড়িয়েছেন অনেকে। আরও কয়েকদিন দর্শনার্থীদের ভিড় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে ইব্রাহিম হোসেন জানতে পারেন, নবাবগঞ্জে বনের ভেতরে বিশাল একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে যেতে দেরি করেননি। তিনি বলেন, ‘সেতুটি দেখে খুব ভালো লাগলো। আমার কাছে মনে হয়, এটি উত্তরবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘতম কাঠের সেতু। একইসঙ্গে বিল ও বনের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে।’

বন ও বিলের মাঝে কাঠের সেতু স্থাপনের খবর পেয়ে আরও অনেকে এসেছেন। তাদেরই একজন গাইবান্ধার নজরুল ইসলাম। তার কথায়, ‘ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আমরা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে এসেছি। এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। একে তো বন ও বিলের অপরূপ সৌন্দর্য, এসবের সঙ্গে যোগ হলো দীর্ঘতম কাঠের সেতু। সাধারণত কাঠের সেতু পার্বত্য চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি বা রাঙামাটি বা পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। নবাবগঞ্জে এ ধরনের স্থাপনা বেশ আকর্ষণীয়।’

রংপুরের শিউলি আকতার আগে থেকেই নবাবগঞ্জের জাতীয় উদ্যান ও আশুরার বিলের কথা জানতেন। তার মন্তব্য, ‘বেড়ানোর জন্য এই বন ও বিল জুতসই। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাঠের সেতু উদ্বোধনের খবর পেয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। দুটি বনের মাঝখানে বিশাল আকৃতির বিল আর এর ওপর কাঠের সেতু এককথায় মুগ্ধকর। সামনে থেকে না দেখলে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা পরিবারের সবাই সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে বনের এ-পাশ থেকে ও-পাশে ঘুরেছি, নৌকায় চড়েছি। সব মিলিয়ে দারুণ সময় কেটেছে। বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ওড়াওড়ি এখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’