পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের গণইস্তফায় অচল স্বাস্থ্যসেবা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০১৯ ০৯:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮১ বার।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা অচল হয়ে পড়েছে। কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে রোগীর স্বজনের কাছে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। খবর : সমকাল অনলাইন।

 

পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে শুক্রবার। এদিন রাজ্যজুড়ে ১০০ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। 

 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে না ফিরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই প্রতিবাদে এই গণইস্তফা।

 

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৭ চিকিৎসক। তাদের ইস্তফাপত্র উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

 

বীরভূমের সরকারি হাসপাতালেও দু'জন মনরোগ বিশেষজ্ঞ ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

 

গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। 

 

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার এসএসকেএম পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি ডাক্তারদের একাংশকে বহিরাগত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

এরপর আরও জটিল হয়ে পড়ে পরিস্থিতি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারই কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। প্রায় ১০ জন ইস্তফাপত্র সুপারের কাছে পৌঁছে দেন। এরপর আরও সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায় গোটা ঘটনা।

 

এভাবে গণহারে ডাক্তারদের ইস্তফায় সরকারি হাসপাতালগুলির রোগীদের অবস্থা শোচনীয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আউটডোর খুললেও চিকিৎসকদের অভাব সর্বত্র। 

 

বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে এগিয়ে আসলেও রোগীর চাপ সামলানো ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

 

এ অবস্থায় পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এখনই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামীতে  ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিতে পারে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়।