ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের যেভাবে সামাল দিতে চায় বিএনপি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০১৯ ১২:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৫ বার।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বেলা  ১টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করে ছাত্রদল।

এ সময় তারা 'খালেদা জিয়া জেলে কেন, সিন্ডিকেট জবাব দে', 'সিন্ডিকেট ছিল কোথায়, ম্যাডাম যখন জেলে গেল', 'মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই' স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ছাত্রদলের সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, 'আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, আমরা আপনার নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আস্থাশীল, আমাদের ত্যাগ স্বীকারকে মূল্যায়ন করে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান দিন'।

তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত এর সমাধান না আসবে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে।

এর আগে বয়সসীমা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক কমিটির দাবি পূরণের আশ্বাসে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করলেও ফের আন্দোলনে নামে।

মূলত বিএনপি নেতাদের আশ্বাসের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিলুপ্ত কমিটির একাংশ।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবি পূরণে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্য অঙ্গ-সংগঠনের নেতারাও সোমবার সকাল থেকে কার্যালয়ের ভেতর অবস্থান করে।

তবে অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের পর থেকে হাইকমান্ডের নির্দেশে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। 

বয়সের সীমা না রাখা, স্বল্পমেয়াদি কমিটি গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধরা।

পরে ওই দিন রাতে দাবি পূরণে সাবেক ছাত্রনেতাদের (ছাত্রদলের কমিটি গঠনে বিএনপি গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা) আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

পরবর্তীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সার্চ কমিটির সদস্য ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীরা।

দাবি পূরণে তারাও পুনরায় আশ্বাস দেন আন্দোলনকারীদের। কিন্তু দাবি পূরণে কার্যত এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।

জানা গেছে, ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ জন্য বিএনপির বিভিন্ন উপ-কমিটি ও দুই অঙ্গ সংগঠন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক নেতাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। পাশাপাশি ছাত্রদলের কাউন্সিলের যাবতীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

আর কাউন্সিলে প্রার্থী হতে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়াসহ তিনটি শর্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।